মুহাম্মদ জাকির হোসেন
ঐতিহাসিক চলনবিলের ¯œায়ু কেন্দ্র গুরুদাসপুর উপজেলার পশ্চিম প্রান্তে অজ পাড়া গাঁয়ে ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পুরুলিয়া হাইস্কুল । এ জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় স্থানীয় জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত শ্রমের মাধ্যমে পরিস্কার করা উঁচুনীচু ভিটা সমতল করা তথা স্থানীয় অর্থায়নের ফসল প্রতিষ্ঠান। দেখতে দেখতে প্রতিষ্ঠানটি অর্ধশত বছরে পা রাখল । আর যুগ যুগ ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে নিরক্ষর জনগনের মাঝে । বর্তমান বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষের যুগেও পিছিয়ে রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যাবধি নানাবিধ সমস্যা জর্জরিত হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে দিন পাড় করছে । উক্ত প্রতিষ্ঠানে জেনারেল ও কারিগরী ছুদুটি শাখা রয়েছে । জেনারেল শাখায় কলাবিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখা এবং কারিগরী শাখায় ড্রেসমেকিং, ইলেকট্রিক্যাল ,অডিও ভিডিও এবং কৃষি- এ চারটি ট্রেড চালু আছে । জেনারেল শাখায় শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা ১৮ জন এরং কারিগরী শাখায় ১৭ জন। ছাত্রছাত্রী জেনারেল শাখায় ৩৫০ জন ও করিগরী শাখায় ১৩০ জন। দুই শাখা মিলে ছাএছাএী সংখ্যা অর্ধ সহসার্ধিক । জন্মলগ্ন থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোর তেমন উন্নতি নেই । তৎকালীন সময়ের টিনসেডের ৫০-৬০ হাত দৈর্ঘ একটি ঘর যা বর্তমানে জং ধরে ফুটো হয়ে গেছে । বুষ্টির দিনে শ্রেণীকক্ষে বসার মত বা পাঠ দান করার মত পরিবেশ থাকে না । বিগত ২০০৩ সনে ৬ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন নির্মিত হয় । নীচতলায় প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ ও ষ্টাফ রুম । দিনদিন স্টাফের বহর বৃদ্ধি পেলেও তাদের বসার স্থান সংকুলান হচ্ছে না। ফলে ঠাসাঠাসি করে বসে দিন কাটাতে হয় । মেয়েদের কমন রুমের অবস্থা তথৈবচ । প্রায় দেড় শতাধিক ছাএীর জন্য ১০-১২ হাত দৈর্ঘ একটি কক্ষ মাত্র। বই খাতা ব্যাগ ছাতা ইত্যাকার জিনিসপএ রাখার জায়গা নেই ,এমনকি বসার মত অবস্থাও নেই। বিদ্যালয়ের অতি প্রয়োজনীয় শ্রেণীকক্ষের স্বল্পতা জন্মলগ্ন থেকেই পরিলক্ষিত হয়ে আসছিল । এরই মাঝে প্রথমিক বিদ্যালয়ের গৃহ নির্মাণের সময় হাইস্কুলের ৬টি কক্ষ ভাংগা পড়ার সমস্যা আরো প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে । বিগত ১৯৯৯ সন থেকে ২০০২ সন পর্যন্ত বিদ্যালয়ের যে উন্নতি হয়েছিল তারপর থেকে প্রায় দেড় যুগ অতিবাহিত হলেও প্রতিষ্টানের উন্নয়নে বন্ধ্যাত্ব কাটেনি ।এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন হওয়া অত্যন্ত জরুরী । প্রয়োজনীয় কক্ষ সংকটের কারণে টিনের ছাপরা ঘরের ব্যবস্থা করে পাঠদানের কাজ চলছে । অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এলাকারসুধীমহল,স্থানীয় এম,পি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছেন এবং সেই সাথে তাদের সচেস্ট হবারও আহবান জানিয়েছেন।