তাড়াশে শামুক নিধনের মহোৎসব

Spread the love

গোলাম মোস্তফা : চলনবিল অধূষিত তাড়াশে বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শামুক নিধনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। বিস্তীর্ণ বিল এলাকা থেকে অবাধে শামুক ধরে তা স্থানীয় ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের দিঘী বাজার ঘাট, মাগুড়া তালপুকুর ঘাট, নাদো সৈয়দপুর বাইর পাড়া ঘাট, বারুহাস ইউনিয়নের হেদার খাল ব্রিজ এলাকা ও হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের আট নম্বর ব্রিজ এলাকায় শ্যালো মেশিনের নৌকা করে শামুক সংগ্রহকারীরা বিক্রির জন্য এসেছেন।

মাসুদ, মিজান, মেহেদী ও শাহিন নামে চারজন শামুক সংগ্রহকারী জানান, এবছর দফায় দফায় বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে ফসলাদি ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও কোন কাজের সুযোগ নাই। বাধ্য হয়ে শামুক ধরে বিক্রি করছেন। তারা আরো বলেন, চলনবিলের তাড়াশ অংশের বিভিন্ন এলাকায় মই জাল দিয়ে রাতভর শামুক ধরে সকালে বিক্রির জন্য ঘাটে নিয়ে আসেন। এভাবে প্রত্যেকের ৫০০/৭০০ টাকা উপার্জন হয়।

দিঘী সগুনা ঘাটের শামুকের ব্যাপারী আব্দুল কাদের রিন্টু ও নাদো সৈয়দপুর বাইর পাড়া ঘাটের ব্যাপারী রসুল আলী জানান, মূলত হাঁস ও মাছের খাদ্য হিসাবে শামুকের ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় খামারীদের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন ১৫/২০ ট্রাক শামুক কুষ্টিয়া, নোয়াখালি, বরিশাল, বাগেরহাট, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে। সালাউদ্দিন মৃধা নামে বরিশালের এক হাঁসের খামারী জানান, ১০০/১১০ টাকায় এক বস্তা শামুক কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে এক বস্তা হাঁসের খাবার কিনতে ২ হাজার থেকে ২২শ’ টাকা পর্যন্ত গুণতে হয়। তাছাড়া শামুক খাওয়ালে হাঁস বেশিদিন ডিম দেয়। আর মাংস বৃদ্ধি পায়।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD