তাড়াশে সড়কগুলো ধসে পড়ছে পুকুরের মাঝে

Spread the love

গোলাম মোস্তফা : তাড়াশে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানা পুকুরে গাইড ওয়াল না থাকায় গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কগুলো ক্রমান্বয়ে পুকুরে ধসে পড়ছে। এতে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়ে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মূল্যবান পাকা-কাঁচা সড়ক পথ। একশ্রেণির প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এ ধরণের সরকারী সম্পদ বিনষ্টের কাজে জড়িত।

 

মৎস্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে তাড়াশ উপজেলা জুড়ে তালিকাভুক্ত ছোট-বড় ২ হাজার ৩শ’ ২৪টি পুকুর রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সোলাপাড়া-মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামীণ সড়কের সোলাপাড়া মোড় এলাকায় বেশ খানিকটা সড়কের পাকা অংশ পুকুরে ধসে পড়েছে। এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকিতে সবাই যাতায়াত করছেন। তাছাড়া তাড়াশ-বারুহাস আঞ্চলিক সড়ক, তাড়াশ-কাটাগাড়ি আঞ্চলিক সড়ক, তাড়াশ-ভ‚য়াগাঁতি আঞ্চলিক সড়ক, তাড়াশ-সলঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক, তাড়াশ-মহিষলুটি আঞ্চলিক সড়ক, তাড়াশ-রানীরহাট, তাড়াশ-কুন্দইল ও তাড়াশ-দেশীগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের গাঁ ঘেষে রয়েছে শ’ শ’ পুকুর। অধিকাংশ পুকুরেই গাইড ওয়াল নাই। এসব সড়কের যে অংশ পুকুরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সেখানেই ভাঙন শুরু হয়েছে। তাড়াশ-বারুহাস সড়কের কহিত গ্রাম এলাকার লুৎফর রহমান নামে ১জন পুকুর মালিক জানান, খননের সময়ই তিনি পুকুরে গাইড ওয়াল করে দিয়েছেন। তবে অন্যরা সবাই এমনটি না করায় সড়ক-রাস্তাগুলো দ্রæত বিনষ্ট হচ্ছে।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মসগুল আজাদ বলেন, সচেতনতার মাধ্যমে সমাধান জরুরি। পুকুর মালিকদের উচিত গাইড ওয়াল করে দেওয়া। কিন্তু সচেতন মহল মনে করেন, সচেতনা এ ক্ষেত্রে তেমন কাজ দেবে না। বরং এটা বন্ধ করতে তথা সরকারী ও জাতীয় সম্পদ রক্ষার্থে ঘনঘন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা দরকার।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD