তাড়াশের পাড়িলে মসজিদের  টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Spread the love

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে অর্থ আত্মসাতকারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শতাধিক গ্রামবাসীর গণ স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বরাবর দাখিল করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার তালম ইউনিয়নের পাড়িল গ্রামে প্রায় ৩০ বছর পুর্বে পাড়িল জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সে মসজিদের গ্রামের মুসুল্লিরা নামাজ আদায় করে আসছেন। গ্রামবাসী আব্দুল লতিফ, আসাদ আলী, দশের আলী , রুহুল আমিন, সেলিমসহ অনেকে জানান, ওই মসজিদের নিজ নামে ও সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত দুটি প্রায় ২২ বিঘা জলায়তনের পুকুর ও ৩ বিঘা ফসলী জমি রয়েছে। যা থেকে আসা আয় দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজ করা হয়ে থাকে। কিন্ত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাড়িল মসজিদের ভোগ দখল করা ওই সম্পদ গ্রামের প্রভাবশালী  মোহাম্মদ আলী মোতা, খলিলুর রহমান, আব্দুস সালাম ভুট্ট, মোহাম্মদ আলী সরকার, আমির হোসেন, আবুল কালাম সরদার, আবু তাহের, আব্দুর রশিদ ফকির ও জামাল উদ্দিনগং নিজেদের ক্ষমতা খাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পুকুর ও জমি থেকে আসা আয় যোগ সাজশে আত্মসাত করে আসছেন। এছাড়াও ২০১১-২০২০ইং পর্যন্ত ২টি পুকুরের লিজমানি প্রায় ৫০-৬০ লাখ, জমি থেকে আয় ৩ লাখ টাকা, পাড়িল গ্রামের কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ থেকে গাছ বিক্রি আরো ২ লাখ টাকা ওই প্রভাবশালীরা আত্মসাত করেছেন। এদিকে একাধিক গ্রামের জনসাধারণ জানান, বিষয়টি নিয়ে ওই প্রভাবশালীদের কাছে গ্রামবাসীরা বার বার মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়কৃৃত টাকা ফেরৎ দিয়ে ভগ্নপ্রায় মসজিদটির নির্মাণের দাবী করলেও তারা তাতে সাড়া দেননি। ফলে গ্রামবাসী এর প্রতিকার চেয়ে গণ স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ তাড়াশ ইউএনও মেজবাউল করিম বরাবর দাখিল করেছেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD