ফারুক আহমেদ ঃ ভোরের শিশির মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে জানান দিচ্ছে আসছে শীত। শিশির মাখা কার্তিকের একরাশ সজীব স্বপ্ন নিয়ে প্রকৃতি এখন মানুষকে কাছে টানছে। কুয়াশামাখা প্রকৃতি আর মাঠে মাঠে ফসলের সম্ভাবনার ঘ্রাণ, কৃষকের চোখে মুখে আনন্দের রেখা। উৎসব আর আনন্দের মাঝে নিমগ্ন খেটে খাওয়া মানুষ। এমন সময় প্রকৃতি দূর করে দেয় কষ্টের গøানি। প্রকৃতির অপরুপ ছবিতে সাজানো মাকড়সার জালে আটকা পরেছে সাহিত্য প্রেমিরা। ভোরবেলা মাঠে ময়দানে ঘুরে দেখা যায়, ভোরের সূর্য। হালকা লালচে রংয়ে দিচ্ছে ঝিলিক। সূর্যের কিরণে মুক্তা মালা চোখে পড়ে। কুয়াশার প্রতিটি কনা মুক্তার মতো জ্বলছে। গ্রীষ্ম আর শীতের মধ্যে হেমন্ত যেন অপরূপা এক সেতুবন্ধন। আশ্বিনের শেষে কার্তিকের ২য় সপ্তাহের সন্ধ্যে থেকে ভোর পর্যন্ত শীতল হাওয়া আর বিকেলে ঝরতে থাকা ধুসর কুয়াশা জানাচ্ছে দুয়ারে শীত কড়া নাড়ছে।
মাঠে প্রান্তরে ভোর বেলা শিশির মাখা ধানের ডলা জানান দিচ্ছে সম্ভাবনার সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোতে আশ্বিনের শেষে ভোরবেলা দুর্বা ঘাস, কচুর পাতাসহ ধানের পাতায় শিশির দেখা যায়। কয়েক দিন থেকে ভোরে খুব একটা ফ্যানের প্রয়োজন হচ্ছে না তাই শীত শির শির জানালায় করা নাড়ছে। প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের আগমনীর বার্তা। শীত মানেই উৎসব। যেন পিঠা আর জামাই মেলা নিয়ে আসে শীতকালে তাছাড়া গাছিদের খেজুর গাছ লাগানো ও খেজুরের গুড় তৈরির পড়ে ধুম। আবহাওয়া আর জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে এখন শীত কার্তিকের মাঝেই উপলব্ধি করা যাচ্ছে। ভোর রাতে কাঁধা কম্বল গায়ে দিতে হয়। তাই বোঝা যায় শীত বেশি দূরে নেই। সিরাজগঞ্জের আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক দিন থেকে ভোর বেলা হালকা কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে আবার সাগরে নি¤œ চাপের প্রভাবে গত সোমবার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। সব মিলিয়ে শীতের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে।