গোলাম মোস্তফা :তাড়াশের প্রসিদ্ধ বিনসাড়া হাটের সরকারি জায়গার অবৈধ দখল নিয়ে ঘর তুলে বছরের পর বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এ কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিক্রেতা ও ক্রেতা। স্থান সংকটে ঝুঁকির মধ্যে ব্যস্ততম রাস্তায় ওপর চলছে কেনা-বেচা।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাটের মূল জায়গায় ৪৫ টি পরিত্যক্ত ঘর। আর ধানের হাট বসেছে হাটের সঙ্গে পাকা রাস্তার ওপর। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে সকাল থেকে দুপুর অবদি চলছে ধান কেনা-বেচা ও লোড-আন লোডের কাজ। সেখানে যানজটে আটকে আছে যানবাহন ও পথচারীরা। এদিকে দোকানদার আব্দুর রহিম, চান আলী, কলিম উদ্দিন, মিলন হোসেন, খয়বার হোসেন জানান, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা হাটের জায়গায় ঘর নির্মাণ করে ফেলে রেখেছেন। অথচ হাটে দোকান নিয়ে বসার জায়গা না রাস্তায় দোকান বিছাতে হয়। কোন কোন হাটে বসার জায়গা না পেয়ে ফিরে যায় অনেকে।
ভুক্তভোগী ও বিনসাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হান্নান, নুরুল ইসলাম, দুলাল হোসেন, ভুট্রো হোসেন, বজলুর রহমান বলেন, বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামে সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার উপজেলার সব থেকে বড় ধানের হাট বসে। উত্তর বঙ্গের একমাত্র প্রবেশদ্বার তাড়াশ-রাণীহাট আঞ্চলিক সড়কে হাট বসার কারণে যানজটে আটকে প্রতিদিন হাজারো মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অভিযুক্ত আনছার আলী, জামাল হোসেন, গনি মিঞা, ফজর আলী প্রমূখ জানান, সরকারি নির্দেশনা পেলে তারা হাটের জায়গা মুক্ত করে দেবেন।হাটের ইজারাদার অমল কুমার জানান, দোকানিদের বসার জায়গা প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে থাকায় হাটের কেনা-বেচা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। সরকারের রাজস্ব নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, বিনসাড়া হাটের জায়গা অবৈধ দখল মুক্ত করতে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।