মাদকসেবীদের ছেড়ে দিল পুলিশ !

Spread the love

চাটমোহর প্রতিনিধি: চাটমোহরে মাদকসেবী সন্দেহে চারজন যুবককে ধরার পরপরই ছেড়ে দিয়েছে থানার এসআই ওয়াসিম। এ ঘটনায় হাজার ত্রিশেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি, এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে ঘটনাস্থলের আশেপাশের তিন-চার গ্রামে। এসআই ওয়াসিম টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস¦ীকার করে বলেছেন- তাদের আটকই করেনি, তাই ছেড়েও দেওয়া হয়নি। ওসি বলেছেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। ঘটনা সরেজমিন তদন্তে পাবনা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মানুষ।

এলাকাবাসীর কথায়, ঘটনাটি গত রোববার সন্ধার ঠিক আগ মুহুর্তের। চাটমোহর-অষ্টমণিষা সড়ক দিয়ে জাবরকোল গ্রামের দিকে যাচ্ছিল একটি বোরাক। সেই বোরাকে ছিলেন ছেড়ে দেওয়া চারজন যুবক। জাবরকোল গ্রামের অদুরে বোরাকটির গতি রোধ করে সাদা পোশাক পড়া এক ব্যক্তি। পরে জানা যায় তিনি পুলিশের লোক, এসআই ওয়াসিম। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, জাবরকোল নতুনপাড়া এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদকালে পাড়াটির প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। এরপর সেখানে হাজির হয় পৈলানপুর গ্রামের বাসিন্দা ও গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও জাবরকোল গ্রামের বাসিন্দা ও গুনাইগাছা ইউনিয়নের আরেক মেম্বার। এলাকাবাসীর দাবি, তাদের মধ্যস্থতায় ওই চারজনকে ছেড়ে দেয় এসআই। তবে বোরাকের চালককে নিয়ে যান তিনি। ছেড়ে দেওয়া চারজন হলেন, জাবরকোল নতুনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা, নয়ন, রাজ ও রনি।

একাধিক সুত্র বলছে, অষ্টমণিষা বাজার সংলগ্ন বাংলা মদের দোকান এলাকা থেকে বোরাকটি চাটমোহরের দিকে আসছিল। নুরনগর ঘাট এলাকায় থাকা সোর্স বিষয়টি ওয়াসিমকে জানায়। এরপরই তাদের পাকড়াও করতে সাদা পোশাকে অভিযান চালায় ওয়াসিম। এদিকে, স্থানীয় এক সাংবাদিক টাকা লেনদেনের বিষয়টি ওসিকে জানালে সোমবার রাতে ছেড়ে দেওয়া চারজনকে চাটমোহর সার্কেল অফিসে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানেই বিষয়টি সুরাহা (?) করা হয়। সার্কেল অফিসে ডেকে নেওয়া ও সুরাহার বিষয়টি একাধিক সুত্র জানিয়েছে।

এসআই ওয়াসিম মোবাইল ফোনে জানান, ছেড়ে দেওয়া চারজনকে আটক করা হয়নি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে মাত্র। যার কাছে মাদক পাওয়া গেছে তাকে ধরা হয়েছে। চাটমোহর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেছেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। টাকা নিয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যারা টাকা দিয়েছে তাদের অভিযোগ দিতে বলেন। বিষয়টি আমি এএসপি (সার্কেল) স্যারকে জানাবো। তিনি বলেন, আমার এক কথা- কোন নিরীহ লোক যেন আমার থানার পুলিশের হাতে হয়রানী না হয়, সে ব্যবস্থা করবো। এএসপি (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরিন বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি ওই চারজনকে ডেকে ছিলাম। এসআই ওয়াসিমের বিরুদ্ধে তাদের কোন অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছে আমাকে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD