স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গুল্টা পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে পারলে ইউএনও কে ব্যবস্থা নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ইজারাদার। গত বুধবার বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এদিকে ৪০ টাকার স্থলে ৩০০ টাকা ও ২৪০ টাকার স্থলে ৪৫০ টাকা খাজনা আদায় করা হলেও স্থানীয় প্রশাসন দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর বেড়েই চলেছে ওই হাট ইজারাদারের আস্ফালন!
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়,, সরকারি খাজনা আদায়ের ঘরে বসে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে খাজনা নেওয়া হচ্ছে। একই সাথে আরও কয়েকজন হাটের মাঝে টেবিলে বসে খাজনা আদায় করছেন। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন আদায়কারী জানান, ইজারাদারের কথা মতো অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছে। ক্রেতা আব্দুর রশিদ, জামাল হোসেন, আবু হাসেম, কিসমত আলী ও বিক্রেতা সবুজ মিয়া, ইউসুব আলী, রাকিব হাসান অভিযোগ করেন, সরকারি নিয়মানুযায়ী একটি গরু-মহিষ ক্রয়-বিক্রয়ে সর্বোচ্চ ২৪০ টাকা ও একটি ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ে ৪০ টাকা খাজনা নেওয়ার বিধান রয়েছে। অথচ ইজারাদার একটি ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ে ৪০ টাকার স্থলে ৩০০ টাকা ও একটি গরু-মহিষ ক্রয়-বিক্রয়ে ২৪০ টাকার স্থলে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত খাজনা আদায় করছেন। সঙ্গত কারণে আদায় রশিদে টাকার পরিমাণের পরিবর্তে পরিশোধ লিখে দিচ্ছেন। গুল্টা হাটের ইজারাদার গিয়াস উদ্দিন অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, “পারলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইফ্ফাত জাহান তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফ্ফাত জাহান বলেন, “ইজারাদারকে ইতোমধ্যে সতর্ক করা হয়েছে। যথাযথ প্রমান পেলে শোকজ করা হবে।” এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মদ বলেন, বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।