স্টাফ রিপোর্টার: সিরাগঞ্জ জেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের মাধাইনগর গ্রামের শতশত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি পরিবারে সুপেয় পানিয় জল ও স্বাস্থসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাব রয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে উঠে আসে, মাধাইনগর গ্রামের কালিবাড়ি, সিংপাড়া,বুড়াপীর,ডুমুরপাড়া,সিংগার পাড়া,নতুনপাড়া ও সনগৈ এই সাত পাড়ায় অর্ধেকের বেশী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারের সুপেয় পানীয় জল স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার ব্যবস্থা নেই। বিশেষ করে টয়লেট সংকট প্রকট এবং খুবই নাজুক। এই অত্যাধুনিক যুগেও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা বাঁশ বাগানে ও ঝোপঝাড়ের তাদের প্রাকৃতিক কাজ সম্পন্ন করে বলে জানা গেল। এর মধ্যে শিশুরা একেবারে খোলাস্থানে এবং পুরুষেরা আড়ালে আবডালে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে থাকে। তবে নারীদের জন্য এই পরিস্থিতি অত্যন্ত কষ্টকর এবং অস্বস্থিকর বোধগম্য কারণেই। হাতে গোনা কিছু বাড়ীতে রিং স্লাবের ল্যাট্ট্রিন নজরে পড়ে। এ প্রসঙ্গে মাধাইনগর বুড়াপীরের জনৈক নীরন বড়াইক এর স্ত্রী প্রৌঢ়া আরতী বড়াইক বলেন, জীবনযাপন ও খাবার কষ্টের কথা কাউকে বলিনা। কিন্তু পানীয়জল ছাড়াও পায়খানার এই যন্ত্রনাদায়ক পরিস্থিতির কথা কাাকে বলা যায়,বাবু। যখন প্রশ্ন করি, চেয়ারম্যান মেম্বারদের ভোট দেন; তাদের এই সমস্যার কথা বলতে পারেন না? আরতি জবাব দেন, তারা কখনো আমাদের এই চিরকালীন সমস্যার দিকে তাকায় না। তারা আমাদের সব অভাব-অভিযোগ জানে। কিন্তু এর সমাধানে তাদের কোনদৃষ্টি বা নজর নেই। তারা যেখানে বসে খাওয়া দাওয়া করে বা বিশ্রাম নেয়-বাড়ীর সেই উঠানের অদূর থেকে মানব মলের গন্ধ ভেসে আসছিল। জিঞ্জেস করলে তারা জানায়,শিশুরা আর কত দূরে গিয়ে কাজ সারতে পারে। তাই বাড়ীর আশপাশে তাদের সুযোগ দিতে হয়। সেজন্যই এই দূরাবস্থা।
উল্লেখ্য, তাড়াশ উপজেলায় প্রায় ৩৫ হাজার আদিবাসী জনগোষ্ঠী বসবাস করে যার বড় একটা অংশ মাধাইনগর এলাকার অধিবাসী। এদের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মস্ংস্থানসহ আধুনিক যীবনযাত্রায় পিছিয়ে থাকার হার বেশী বলে পরিলক্ষিত হয়।। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে তাড়াশের আদিবাসীদের নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যকর পয়নি:স্কাশন ব্যবস্থার দিকে জরুরী ভিত্তিতে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। বিশেষ উল্লেখ, তাড়াশ উপজেলার অধিক আদিবাসী বসতিপূর্ণ দেশীগ্রাম, তালম ও বারুহাস ইউনিয়নেও ক্ষুদ্র জাতিসত্বার সমাজে একই অবস্থা বিরাজ করছে যা কেউই দেখেও দেখে না বলা যায়।