স্টাফ রিপোর্টার : ২জন ছাত্রী সহ ৫ জন মহিলার ওপর পুলিশের বর্বর হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাটমোহর থানার গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড়শালিখা গ্রামের ভুক্তভোগী মোঃ হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মদিনা খাতুন ( ৪৮) গং।
গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাদী মদিনা খাতুনের ছোট্ট ভাই পলি¬ চিকিৎসক ডাঃ বসির আল হেলাল। তিনি বলেন, ৫ শতাংশ বসতবাড়ীর জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে মদিনা খাতুন গং এবং রেজাউল করিম ও কেয়া পারভীনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত উক্ত জায়গার উপর ২ ডিসেম্বর থেকে ৩০ দিনের ১৪৪ ধারা জারি করেন। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর হঠাৎ চাটমোহর থানার কতিপয় পুলিশ সিভিল ড্রেসে রেজাউল করিম এবং কেয়া পারভীনের পক্ষে উক্ত বসতবাড়ীর উপর হামলা চালায়। তাঁদের হামলায় ভয়ে বাড়ীর পুরুষ মানুষ সরে পড়ে। এ সময় হামলাকারীদের হামলায় ৫ জন মহিলা আহত হয়। হামলাকারীরা বাড়ীর আসবাবপত্র এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুটপাট করে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে। থানা পুলিশের পক্ষপাতিত্বে বর্তমানে তারা বাড়ী ছাড়া । তারা পুলিশের গ্রেফতার আতংকে রয়েছেন। ইতোমধ্যে পুলিশ বাদীর কলেজ পড়–য়া মেয়ে এবং নার্সারী ব্যাসায়ী ছেলে সহ গ্রামের জনৈক স্বর্ণকারকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করাও অভিযোগও রয়েছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানায়, চাটমোহর থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন এর নির্দেশে এ এস আই ওয়াসিম আলী এবং পুলিশ কনস্টেবল বাবু সহ আরও ৭/ ৮ জন পুলিশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় এ হামলা চালান হয়।