বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি গ্রামের প্রায় সব মানুষ কতিপয় সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ২০ টিরও অধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। একই সাথে সন্ত্রাসীদের নামে মামলাও করা হয়েছে। উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দীঘরিয়া গ্রামের এ ঘটনা।
মামলা ও প্রশাসনের কাছে দেওয়া বিভিন্ন অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দিঘরীয়া গ্রামের মৃত জীবন আলীর ছেলে মজনু মিয়ার নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে ওঠে। তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন মজনু মিয়ার বড় ভাই জহুরুল ইসলাম, ছোট দুই ভাই মোতালেব হোসেন ও আব্দুল মমিন। এছাড়াও রয়েছেন সাইদুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, জাহিদুলের স্ত্রী সীমা খাতুন ফারমি, মৃত জেহের আলীর ছেলে হযরত আলী এবং মৃত শুকুর আলীর ছেলে মাসুদ আলীসহ বেশ কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি। মামলা ও প্রশাসনের কাছে দেওয়া সূত্রে আরো জানা যায়, মজনু মিয়া ২০০৯ সালে গরু চুরি করে ধরা পড়েন। পরে তিনি তার অনুগতদের নিয়ে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেন। এরপর শুরু হয় একের পর এক বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের শিকার আব্দুর রউফ, শাহেরা খাতুন, আব্দুর রাজ্জাক, নূরুল ইসলাম, জোনাব আলী ও আব্দুল ওয়াহাব পুলিশ, র্যাব ও আদালতে মজনু মিয়াসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তবে মজনু মিয়া বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা।এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মজনু মিয়াকে এর আগেও দুইবার আটক করা হয়েছে। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছেন।