জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে আগামী ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুই দিনব্যাপী এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। নিউইয়র্কের প্রমোটার প্রতিষ্ঠান শো’টাইম মিউজিক আ্যান্ড প্লে আয়োজিত এই সম্মেলনের নামকরণ করা হয়েছে ‘হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলন।’ এই আয়োজন সম্মেলন সফল করতে চলছে নানান প্রস্তুতি।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শো’টাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ পত্নী ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক সিনহা মনসুর, সদস্য সচিব কবি মিশুক সেলিম এবং সদস্য জিয়াউর রহমান।
আয়োজকরা জানান, জ্যামাইকায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় পিএস ১৩১ এর মিলনায়তনে এ সম্মেলনের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিশীল কর্মকে প্রবাস প্রজন্ম তথা আন্তর্জাতিকভাবে আরও বেশি জনপ্রিয় করতেই এমন আয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকেই অনুরোধ পাচ্ছি এ ধরনের মেলা ও সম্মেলন আয়োজনের। এতে কোন আপত্তি নেই। কারণ হুমায়ূন ছিলেন সব পাঠক-দর্শক আর শ্রোতার প্রিয় একজন মানুষ। তার ভক্তরা তাকে স্মরণ করবে, তার সৃষ্টিশীল কর্ম অনাগত ভবিষ্যতের জন্যে উজ্জীবিত রাখবে- এটা সবচেয়ে বড় আনন্দ ও পরম গৌরবের।
তিনি আরো বলেন, এবারের সম্মেলনের বিশেষ একটি পর্ব থাকবে প্রবাস প্রজন্মের জন্য। তাদের ভাষায় আমরা সে পর্ব পরিচালনা করতে চাই। এজন্য প্রতিটি প্রবাসীর আন্তরিক সহায়তা প্রয়োজন।
আলমগীর খান আলম বলেন, গত দুবছর দুটি হুমায়ূন মেলা করেছি। এবার হুমায়ূনের সব কর্মকে আরো বেশি আলোচনা, প্রদর্শনী ও মঞ্চায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই মেলা থেকে আমরা সম্মেলনে রূপান্তরিত করেছি সবকিছুকে। এতে হুমায়ূনের ঘনিষ্ঠ লেখক, কবি, চলচ্চিত্রকার, নাট্যকার ও প্রকাশকরাও আসবেন।
অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, হুমায়ূন আহমেদের বেশ কটি উপন্যাসের অনুবাদ করা হচ্ছে। সেগুলো প্রবাস প্রজন্ম ছাড়াও আন্তর্জাতিক পাঠকের কাছে সমাদৃত হবে বলে আশা করছি। আর এভাবেই বাংলাদেশের সাহিত্যকে আন্তর্জাতিকীকরণের প্রক্রিয়াটি অব্যাহত রাখা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্মেলনের জন্যে গঠিত উপদেষ্টামণ্ডলির তালিকা প্রকাশ করা হয়। তারা হলেন, শহীদ পরিবারের সন্তান ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা ও বিজ্ঞানী ড. নূরননবী, চারণ কবি বেলাল বেগ, কথাসাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত ও পূরবী বসু।