স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহৃত মেয়েকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার বাব ও মা। শনিবার দুপুরে তাড়াশ প্রেসক্লাব হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অপহৃত স্কুল ছাত্রী ছায়মা জান্নাত হাসির (১৩) মা ও উপজেলার বারুহাস গ্রামের হাসেম খানের স্ত্রী কলি খাতুন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, তার একমাত্র মেয়ে ঢাকা স্টারলিট গ্রামার স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছায়মা ও ছেলে হিমেলকে নিয়ে পাঁচ বছর ধরে ঢাকার পল্লবীতে বসবাস করেন। সেখানে তিনি ক্ষুদ্র পরিসরে ফলের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। এ সময় গোপালগঞ্জের মোকছেদপুর উপজেলার কলিগ্রামের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী অসিমের ছেলে সিবাস্তিন, সজল ও সজলের স্ত্রী সিপ্রা তার মেয়েকে অপহরণ করেন। ওই সময় অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় একটি জিডি করেন তিনি। জিডি নং-১০৫৪। পরে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে পল্লবী থানার মাধ্যমে মোকছেদপুর থানার সহযোগিতায় মেয়েকে অসুস্থবস্থায় ফিরে পান।
এরপর তিনি মেয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে তার নানার বাড়ি তাড়াশ উপজেলার ওয়াশিন গ্রামের ওয়াশিন উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করান। সেখানে পড়ালেখা অবস্থায় এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখে সিবান্তিন গং তার মেয়েকে আবারও অপহরণ করেন। তিনি তাড়াশ থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান। নিরুপায় হয়ে সিরাজগঞ্জ আদালতে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে তাড়াশ থানা পুলিশকে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ দেন আদালত।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তাড়াশ থানা পুলিশ আসামিদের ধরতে ব্যর্থ হলে তিনি আবারও পল্লবী থানার স্বরণাপন্ন হন। এরপর পল্লবী থানা পুলিশ অভিযুক্ত সজল ও সিপ্রাকে গ্রেফতার করে তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করেন। অথচ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাড়াশ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আশফাকুর রহমান আসামিদের কোন রকমের জিজ্ঞাসাবাদ ও রিমান্ড আবেদন ছাড়াই আদালতে প্রেরণ করেন। তদন্ত কর্মকর্তার দূর্বল ভূমিকার কারণে আসামিরা সহজেই আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়।
বাবা-মা’র দাবি তাদের স্কুল পড়–য়া মেয়ে সায়মা এখনও অপহরণকারীদের কাছেই রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আশফাকুর রহমান বলেন, তার প্রতি আনিত অভিযোগ সত্য নয়। গ্রেফতারকৃত দু’জনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপহৃত ছায়মাকে উদ্ধারের সবরকমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।