চাটমোহর প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহরের কৃতি সন্তান মমিন মুজিবুল হক। তবে তাকে সবাই চেনে টুটুল সমাজী নামে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে প্রথম শ্রেনীতে স্নাতক ডিগ্রী লাভের পর তিনি এলজিইডিতে যোগ দেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি তার কর্মস্থলে ভাল কাজের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। পেয়েছেন অনেক যশ-খ্যাতি।
পাশপাশি নিজ এলাকার অসহায় দুস্থ মানুষের ভাগ্যেন্নয়নে এখনও অবিরত কাজ করে চলেছেন। একজন ইঞ্জিনিয়ার হয়েও হাতে সময় পেলেই ছুটে আসেন নিজ এলাকায়। গ্রামের আনাচে কানাচে দুস্থ মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন।এবার তিনি অনন্য নজির স্থাপন করলেন। মাস্টার-অব-ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ কোর্সে ৩.৯৮ (৪) স্কোর পেয়ে মেধার অনন্য স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গোল্ড মেডেল অর্জন করতে যাচ্ছেন। আগামী ১৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই মেডেল তাঁর হাতে তুলে দেবেন সংশ্লি¬ষ্টরা। এর আগে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টুটুল সমাজীকে গোল্ড মেডেল দেওয়ার ঘোষণা দেন। টুটুল সমাজী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেনীতে স্নাতক ডিগ্রী লাভের পর তিনি এলজিইডিতে যোগ দেন। সেখানে পেশাগত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সেও অংশ গ্রহণকারী সকল প্রকৌশলীদের মধ্য হ’তে প্রথম স্থান অধিকার করে” অনন্য সাধারণ “গ্রেড অর্জন করেন। জীবনের সকল ক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা সমাজী অষ্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যাল, সৌদি আরবের দাম্মাম বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিশ্বব্যাংক, এডিবি সহ অন্যান্য সহায়তা, প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থায় ” রিসোর্স পারসন” হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন। এখানেই শেষ নয়, টুটুল সমাজী একজন সুলেখকও। স্যোশাল মিডিয়ায় তার অবাধ বিচরণ। তিনি ফেসবুকে এবং পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করে থাকেন। একজন মানবিক মানুষ হিসেবে নিজ এলাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে তার বেশ পরিচিতি রয়েছে। তবে অতি সম্প্রতি তিনি নতুন রুপে আবির্ভুত হয়েছেন। সদ্য শেষ হওয়া একুশে গ্রন্থ মেলায় টুটুল সমাজীর লেখা কাব্যগ্রন্থ “সুমকি হালট” ব্যপকভাবে পাঠক নন্দিত হয়েছে। উল্লে¬খ্য, তিনি সাবেক গণপরিষদ সদস্য এবং প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য মরহম মোজাম্মেল হক সমাজীর তৃতীয় সন্তান।
