প্রধান শিক্ষকের যৌন হয়রানীর শিকার আদিবাসী ছাত্রী

Spread the love

চলনবিল বার্তা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের তাড়াশের গুল্টা আদিবাসী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারের (৫২) বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক সাওতাল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার দুপুরে তালম ইউনিয়নের গুল্টা গ্রামে ওই প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে ছাত্রীর যৌন হয়রানীর ঘটনা ঘটে। এদিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় যৌন হয়রানীর শিকার ওই ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে থানায় অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
মেয়েটির বাবা জানান, রাজশাহী থেকে ২ বছর পূর্বে উপজেলার গুল্টা আদিবাসী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি হয় তার মেধাবী মেয়ে (১৪)। ভর্তির পর অন্যান্য ছাত্রীদের সাথে সে বিদ্যালয়ের হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করছিল। গত দুই মাস পূর্বে হোস্টেলে খাওয়া দাওয়ার সমস্যা দেখা দিলে ছাত্রীর বাবা তার মেয়েকে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে বলেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার মেধাবী ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে রাখার জন্য অনুরোধ করেন এবং তার নিজ বাড়ী থেকে ছাত্রীর খাবারের ব্যবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে রাখার ব্যবস্থা করেন।
যৌন হয়রানীর শিকার নবম শ্রেণির ছাত্রী জানায়, গত শুক্রবার প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় ছাত্রীকে তার শিক্ষককের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে রাতের খাবার হোস্টেলে নিয়ে খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে যান। রান্না শেষে ওই ছাত্রী তার শিক্ষকের শোবার ঘরে খাবার দিতে গেলে তাকে কু-প্রস্তাব দেন। এক পর্যায়ে জোরপূর্বক ছাত্রীর শরীরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকেন। এতে ওই ছাত্রী ভয় পেয়ে শিক্ষকের বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশ্ববর্তী শ্যামলী নামের এক বান্ধবীর বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় বান্ধবীর বাড়ি থেকে মুঠোফোনে তার বাবাকে রাজশাহীর বাড়িতে দ্রুত নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কান্নাকাটি করতে থাকে।
এদিকে মেয়ের কান্নাকাটি শুনে সকালে ছাত্রীর বাবা গুল্টা গ্রামে চলে আসেন এবং মেয়ের কাছে বিস্তারিত জেনে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেন। এরপর সেখানে থেকে তার মেয়েকে নিয়ে তাড়াশ থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য চলেন আসেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযোগ দায়েরর জন্য তিনি থানায় অবস্থান করছেন। প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারের মুঠোফোনে (০১৭১৬-৭২২৬৯৪) তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান সন্ধ্যা ৫.৫৪ মিনিটে এ প্রতিনিধিকে জানান, মেয়েটির কাছে বিস্তারিত শুনে অভিযোগ দাে রের কথা বলেছি। অভিযোগটি লেখা শেষে আমার কাছে দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD