মো: আনোয়ার হোসেন সাগরঃ কয়েক দিন ধরে সিরাজগঞ্জে ঘন কুয়াশায় কনকনে তীব্র শীত ঝেঁকে বসেছে পুরো জেলাজুড়ে। পৌষ মাসের শেষে এসে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি পড়ছে ঘন কুয়াশা। আর শীতের তীব্রতার শুরুতেই ফুটপাতে চলছে গরম কাপড় কেনাকাটার ধুম মধ্যবিত্ত,নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষসহ প্রায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ফুটপাতের বাজারগুলো থেকে শীতের কাপড় কেনাকাটা করছে। চরাঞ্চল ও গ্রামের পাশাপাশি শহরেও এখন শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এরপরও সর্দি, কাশিসহ শীতকালীন নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন এসব মানুষ। কিনছেন হালকা, মাঝারি ও ভারী ধরনের শীতের গরম পোশাক।
সিরাজগঞ্জ শহরের এসএস রোড, পৌর হকার্স মার্কেট, পৌর নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন হাট বাজারের ফুটপাত ও মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্র কেনাবেচার জমজমাট দৃশ্য । মানুষ ঈদের মার্কেটের মতো আগ্রহ নিয়ে শীতের কাপড় কিনতে দেখা যায়। ভিড়ের কারণে দামাদামি ও যাচাই বাছাই করে কেনার সুযোগ অনেকটাই কম পাচ্ছেন ক্রেতারা। শুধু শীতের কাপড় পছন্দ হলেই একদামে কিনতে হচ্ছে এসব শীতার্ত মানুষকে। এসএস রোডের ফুটপাতে বসা ব্যবসায়ী মোকতেল হোসেন বলেন, আমরা বছরে দুই ঈদ ছাড়া এই শীতে একটু বাড়তি ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে থাকি। তবে সারা বছর আবার এ সুযোগ পাওয়া যায় না বলে তিনি জানান।
আলম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, গত বছর শীতের তীব্রতা তেমন না থাকায় শীতবস্ত্রের মার্কেটে তেমন কেনাবেচা ছিল না তবে এবার কয়েকদিন হলো শীতের তীব্রতা বাড়ার কারনে কিছুটা ব্যবসা হচ্ছে। তবে অনেকে আবার শীতের শুরুতেই আগেভাগেই শীতের কাপড় কিনে নিচ্ছেন। শীতের কাপড় কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, শীতের প্রভাব আরো বেশি পড়ায় এবার শীতের পোশাক কেনার জন্য ফুটপাতের মার্কেটে এসেছি। তিনি বলেন, আমরা গরিব তাই আমাদের বেশি দামের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই। বর্তমানে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই ফুটপাতের পোশাকই আমাদের একমাত্র ভরসা।
একশত টাকা দিয়ে কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড এই গরম কাপড় দিয়ে এ বছরের পুরো শীত মোকাবেলা করতে হবে। সামর্থ না থাকায় আমরা প্রতি বছরই ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে শীতের পোশাক কিনে থাকি। তাই এ বছরও কিনলাম। ফুটপাতের সেকেন্ড হ্যান্ড দোকানগুলো হলো গরিবের শপিংমল। তাই আমার মতো গরিবরা এ দোকানগুলো থেকে প্রতি বছর শীতের গরম কাপড় কিনে থাকেন। তবে যাদের শীতের গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই সেই সব ছিন্নমূল মানুষগুলো এই তীব্র শীতে গরম কাপড়ের অভাবে চরম কষ্টে রয়েছে।