ডাঃ আমজাদ হোসেনঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এবারের মৌসুমে আরো বেশি জমিতে বোরো ধানের শুকনা বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। শুকনো বীজতলা করতে কৃষক আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানানো তথ্যে এবারের মৌসুমে উপজেলায় মোট ১ হাজার ৫২০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে নানা জাতের বোরো ধানের বীজতলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হেক্টর পরিমাণ জমিতে শুকনো বীজতলা করা হয়েছে। আর ১ হাজার ১৮ হেক্টরে সাধারণ ও ৪ শ ৯৫ হেক্টরে বোরো ধানের আদর্শ বীজতলা করেছেন কৃষকেরা।
উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভাটবেড়া মাঠে কৃষক খবির উদ্দিন হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের শুকনো বীজতলা করেছেন। তিনি বিশ শতক জমিতে দু’সপ্তাহ আগে এ বীজতলা করেছেন। তিনি জানান বেশ কজন কৃষকের কাছে জেনেছেন শুকনো বীজতলা কুয়াশায় কোনো ক্ষতি হয়না আর চারার টেক ভালো হারে বের (গজায় ) হয় বলে নিজ আগ্রহে করেছেন। বীজতলার চারার বয়স ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে হলে তা তুলে জমিতে লাগাবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সূবর্ণা ইয়াসমিন সূমী বলেন শুকনো বীজতলায় বীজ ধান মাটিতে ফেলার ( বোনার ) পর থেকে জমিতে লাগানোর আগে চারা তোলা কাল অবধি পুরো বীজতলা পলিথিনে ঢেকে রাখতে হয়। শুকনো বীজতলায় বীজ ধান থেকে খুবই ভালো হারে চারা বের হয়ে থাকে। এছাড়া ঘন কুয়াশা ও শীত জনিত রোগ থেকে বীজতলার চারা পুরোপুরি রক্ষা পায়। বোরো ধানের শুকনো বীজতলা করার জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে অনেক কৃষক আগ্রহী হয়ে শুকনো বীজতলা করছেন