আবদুর রাজ্জাক রাজু ও সনজু কাদের: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনূষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ৫৮টি ভোট কেন্দ্রের কোথাও থেকে কোনো অপ্রীতিকর খবর নেই। অবশ্য নির্বাচন অত্যন্ত নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলেও ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
উপজেলার অর্ধ শতাধিক ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত: ৫টি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে নির্বাচনের এ চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বস্তুল হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনকালে জানা যায, এখানে পুরুষ ও মহিলা ভোটার সর্বমোট ৫০৫৮ জন। তার মধ্যে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৪৬১ জনের ভোট দান সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে একই ইউনিয়নের কুসুম্বী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও পুরুষ ও মহিলা মিলিত ভোটার সংখ্যা ৩৫৫৩। এর মধ্যে দুপুর ১২টা নাগাদ মোট ভোট পড়েছে ৯৫০টি। অপরদিকে ঐ ইউনিয়নের বারুহাস দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের পুরুষ-মহিলা সর্বমোট ভোটার ৩০৮১ যার মধ্যে বেলা ১টা পর্যন্ত ১১৬৯জন ভোট দিয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার। এছাড়া তাড়াশ সদর ইউনিয়নের কহিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের মোট ২১৩৯ ভোটারের মধ্যে ১২টা অব্দি ৬৫০ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছেন বলে ওখানকার প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেন। কিন্তু পর্যবেক্ষকের পরিদর্শনের সময় সেখানে ভোটার ছিল দু’একজন মাত্র।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত ভোট কেন্দ্রসমূহ সরাসরি পরিদর্শনকালে কোনো কেন্দ্রেই ভোটারের স্বাভাবিক চিরাচরিত লাইন পরিদৃষ্ট হয়নি কিংবা কোন ভিড়ও ছিল না। সব কেন্দ্রেই দু’চার জন বা কোথাও সামান্য বেশী ভোটারের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যবেক্ষণকালে বারুহাস কেন্দ্রের বাইরের ছবি মোবাইলে ধারণ করতে গেলে কর্তব্যরত একজন পুলিশ বাধা প্রদান করে। তিনি বলেন, এটা আইনসিদ্ধ হলেও আমাদের প্রেসটিজের ব্যাপার বলে তা না তোলাই ভাল। পক্ষান্তরে কহিত প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে স্কুল ভবনের দোতলায় কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ করে ভেতরে তিনি একজন আনসারসহ অবস্থান করে আগত পর্যবেক্ষকদের সাথে ভিতরে থেকে কথা বললেও তালা খুলে বাইরে আসেননি। এর বাইরে তাড়াশ উপজেলার বড় মাঝদক্ষিনা,গুড়পিপুল, দেশীগ্রাম,গোন্তা ও গুল্টা কেন্দ্র পর্যবেক্ষণকারী দলের নিকট থেকে জানা গেছে, ঐসব কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতির হার কম ছিল।