আহ্বান
বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শুকুর মাহমুদ
প্রিয় দেশবাসীর নিকট উদাত্ত আহ্বান, বাংলাদেশ-বাঙালী জাতি মানব সমাজে পরিচিতি লাভের পর হতে হাজার হাজার বছর পরাধীন ছিল। পরদেশী শাসকদের শাসন-শোষন আর নির্যাতনে দিশেহারা, অনেক সংগ্রাম বহু আন্দোলনের পর অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা লাখো জীবন, হাজার ইজ্জত দিতে হয়েছে স্বাধীনতা অর্জন করতে। সেই স্বাধীনতা ভূলন্ঠিত হোক স্বাধীনতাকামীদের এমন কাম্য নয়।
স্বাধীন দেশে মুক্ত সংবিধান আছে যা অতি পবিত্র প্রত্যেক জাতিরই সংবিধান তাদের কাছে পবিত্র। সংবিধান মোতাবেক দেশের নির্বাচন সহ সকল কার্যক্রম চলবে, এটাই বাস্তব। দেশে গণতন্ত্রের ধারা চলমান রাখতে যথা সময়ে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করাই গণতান্ত্রিক দেশের নিয়ম। দেশের উন্নয়নের গতি চলমান রাখতে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের বিকল্প নেই। অথচ দেশের একটি রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রের ধারা ব্যহত করতে নানা টালবাহানা করছে। দলটির প্রস্তাবে উঠে আসছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্তাবধায়ক সরকার এনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে। দলটির দাবীর পিছনে অনুসন্ধান করে দেখা যায় আমাদের অঞ্চলের সুজন পাগল আর সবুজ পাগল ব্যতিত নির্দলীয় কাউকে খুঁজে পাওয়া গেল না। অন্য দিকে শিশুরা নির্দলীয় থাকার কথা থাকলেও তারাও নির্দলীয় নেই, কারণ শিশুরাও স্বপক্ষকে সমর্থন করে।
প্রিয় দেশবাসীর কাছে নিবেদন, আসুন অনুসন্ধান করুন দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে রাজনীতি করছে, তাতে তারা কি জনগনের রাজনীতি করছে? নাকি নিজেদের ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করছে?
রাজনৈতিক দলগুলো যদি জনগনের স্বার্থেই রাজনীতি করবে তবে হরতাল-অবরোধ কিসের? মানুষের জন্য যদি রাজনীতি করবে তবে মানুষ হত্যা করছে কেন? রাজনৈতিক দলের সদস্যরা যদি দেশের উন্নয়নের কথা ভাববে তবে দেশের সম্পদ জালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংস করছে কেন?
রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ডে অনুভব করা যাচ্ছে যে, ওরা জনগনের রাজনীতি করে না, ক্ষমতার আসনই ওদের কাম্য। দোহাই আপনাদের রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। দেশের সম্পদ ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকুন। সকল রাজনৈতিক দলকে হুশিয়ার করা হচ্ছে, স্বাধীনতা নিয়ে খেলা বন্ধ করুন। যথা সময়ে নির্বাচন না হলে সামরিক শাসন আসতে পারে, নয় তো বিদেশী আগ্রাসন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সৈনিক বীরমুক্তিযোদ্ধারা বৃদ্ধ হলেও দূর্বল হয়নি, একাত্তুরের হাতিয়ার গর্জে উঠবে আর একবার। তারা অস্ত্র জমা দিয়েছে, প্রশিক্ষন জমা দেয়নি, রক্ত যখন দিয়েছি প্রয়োজনে আরও দিব রক্ত তবুও দেশটাকে নিয়ে খেলা করা বন্ধ করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।
রাজনৈতিক সকল দলের কাছে আহ্বান করছি, নির্বাচনে অংশ নিন। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগীতা করুন, জনগনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিন।