জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহরঃ পাবনার চাটমোহরে কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কয়েকটি গ্রামের গৃহিণীরা। উপজেলার দোলং, রামনগর, মথুরাপুর, বোঁথর, ফৈলজানা, কুমারগাড়া, হান্ডিয়াল ও পৌর এলাকার দেড় হাজার পরিবার কুমড়ো বড়ি তৈরি ও বিক্রির সাথে জড়িত। বানিজ্যিক ভাবে কুমড়ো বড়ি উৎপাদন করে তারা জীবিকা নির্বাহ করছেন। চাটমোহরের কুমড়ো বড়ির কদর এখন দেশ জুড়ে। শীত মৌসুমে এই বড়ির চাহিদা ব্যাপক। আবহমান বাংলার এই বড়ির নাম শুনলেই বাঙালীর জিভে পানি আসে। নিত্যদিনের বিভিন্ন রকমারী তরকারি তৈরিতে কুমড়ো বড়ির জুড়ি নেই। শীতের শুরুতেই চাটমোহরে কুমড়ো বড়ি তৈরির ধূম পড়ে। কাক ডাকা ভোরে বড়ি তৈরি করে দিনভর শুকানো হচ্ছে রোদে। বড়ি তৈরিতে পরিশ্রমও বেশ। বাড়ির গৃহিণীরা মূলতঃ এই বড়ি তৈরি করে থাকেন। কার্তিক মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে বড়ি তৈরির কাজ। রকমারী উপাদান দিয়ে তৈরি কুমড়ো বড়ি জ্জ দিন কড়া রোদে শুকাতে হয়।
চাটমোহর পৌর এলাকার দোলং মহল্লার বড়ি উৎপাদনকারী উষা রাণী ভৌমিক জানান, প্রায় ৫০ বছর যাবত বড়ি তৈরি করছি। আগে পাটায় পিশে ডাল গুঁড়া করতে হতো। এখন মেশিনে গুঁড়া তৈরি হয়। রোদ না থাকলে বড়ি শুকানো যায় না। বড়ি বিক্রেতা সুনীল সরকার ও প্রদীপ ভৌমিক জানান, একটি চাল কুমড়ো এখন আকারভেদে ৫০/৬০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। খেসারী, মাসকালাই, এ্যাংকার ডালের দামও কমবেশী। ফলে বড়ির দামও কমবেশী হয়। ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত এক কেজি কুমড়ো বড়ির দাম। তারা জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এই বড়ি কিনে নিয়ে যাওয়া হয়। আমেনিকাসহ বিভিন্ন দেশের বাঙালীরা কুমড়ো বড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। শুধু গ্রামাঞ্চলে নয়, শহরেও এখন কুমড়ো বড়ির ব্যাপক কদর।