তাড়াশে প্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণ, ১৪ দিন পর মামলা দায়ের

Spread the love
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আদিবাসী পল্লীতে শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি এক যুবতীকে একই সম্প্রদায়ের এক যুবক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৩ অক্টোবর রাতে এ ঘটনা ঘটলেও ১৪ দিন পর সোমবার রাতে এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

অভিযুক্ত সঞ্জিত কুমার উরাও (২২) তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের আদিবাসী পল্লী কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের অজিত কুমার উরাওয়ের ছেলে। ভুক্তভোগী অবিবাহিত প্রতিবন্ধি নারী শৈবা বালা (৩৩) একই এলাকার মৃত সুনিল চন্দ্র উরাওয়ের মেয়ে।      

তাড়াশ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধি যুবতীর পরিবার থানায় অভিযোগ করতে না আসায় দেরিতে মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে ধর্ষিতার ছোট ভাই সুশান্ত কুমার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামীকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

তিনি আরো বলেন, ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধি যুবতীকে সোমবার উদ্ধারের পর রাতে থানা হেফাজতে রাখা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে শারীরিক পরীক্ষা এবং আদালতে হাজির করে জবানবন্দি গ্রহন করা হয়েছে।  

ধর্ষিতার ছোট ভাই সুশান্ত কুমার উরাও অভিযোগ করে বলেন, ২৩ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে তাঁর প্রতিবন্ধি বোন বাথরুমে যাবার জন্য ঘর থেকে বের হন। অনেকক্ষন পরও সে ঘরে ফিরে না আসায় খোজাখুজি শুরু করেন তিনি। একপর্যায়ে প্রবিবেশীর গোয়াল ঘরে গিয়ে তার বোন ও অভিযুক্ত সঞ্জিতকে আপক্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এসময় তিনি সঞ্জিতকে ঝাপটে ধরে চিৎকার শুরু করলে সে ঘটনাস্থলে পায়ের স্যান্ডেল ও গেঞ্জি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

সুশান্ত বলেন, ঘটনা জানার পর সঞ্জিতের আপন চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলন চন্দ্র সরকার মামলা করতে বাধা দেন। গ্রাম্য শালিসে বিষয়টি মিমাংসার জন্য মাতব্বরদের নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠকও করেছেন তিনি। যে কারনে মামলা করতে দেরি হয়েছে।

কৃষি শ্রমিক সুশান্ত আরো বলেন, আমি গরীব মানুষ, প্রতিবন্ধি বোন, প্রতিবন্ধি বিধবা মা, স্ত্রী ও এক শিশু সন্তান নিয়ে আমাদের সংসার। সহযোগিতা করার মত কেউ নেই। আসামী প্রভাবশালী হওয়ায় বোনের এ পরিস্থিতিতে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীন ভুগছি।

এ বিষয়ে স্থানীয় মাধাইনগর ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মিলন চন্দ্র সরকার জানান, অভিযুক্ত সঞ্জিত আমার আপন ভাতিজা, আর ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধি যুবতী সর্ম্পকে প্রতিবেশী ভাতিজি। ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে হওয়ায় গ্রাম্য শালিসে সমাধা করতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু মেয়ে পক্ষের অসহযোগিতার কারনে তা সম্ভব হয়নি।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD