তাড়াশের কবিগনে
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার
তাড়াশের কবিগনে মাঝে মধ্যেই হুজুগ তুলে
কবিতা পাঠের আসর বসায় কোথাও বা কজন মিলে।
পাবলিক লাইব্রেরী হলরুমে অনেক সময় ভেনু হয়
যেহেতু কবি আসেন সংখ্যায় খুব বেশী নয়।
নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর লোক কম
জগতে চোখে পড়ে আজকাল হরদম।
কখনও আসর বসে প্রেসক্লাব চত্বরে
মাইক বেঁধে আবৃত্তি করে ওরা বেশ জোরে।
সাধারন জনতা কবিতা তেমন শোনে না
নাছোড় বান্দা কবিদের মন তা মানে না।
জনগনকে পদ্য শুনিয়েই ছাড়বে
এতে নাকি ইমেজ তাদের খানিকটা বাড়বে।
সেই জন্য মাইক লাগায় বাজারের প্রবেশ মুখে
উচ্চরবে চেঁচায় সবে গলা ফাটিয়ে মনের সুখে।
কবিদের মাঝে আছে নানান রকম দলাদলি
একারনে ঘটে যায় কিঞ্চিৎ ঠেলাঠেলি।
কেউ কেউ সংগঠন গড়ে নেতা হতে চায়
আগ্রহে ভাটা পড়লে তা মুখ থুবড়ে যায়।
যদিও অন্য গ্রুপ আরেকটা ক্লাব গড়ে
পৃষ্ঠপোষক হিসাবে আনে কোনো এক নেতা ধরে।
পিকনিক করেন তিনি চলনবিলে গিয়ে
কবি – সাহিত্যিকসহ বউ, পোলা নিয়ে।
লাভ হয়না তেমন কোনো কবিতার আসর করে
কয়দিন পরে নেতাজী মানে মানে কেটে পড়ে।
ভগ্নহৃদয় কবি সায়েবরা এর পরেও আসর বসায়
পেটের তাগিদে নয় নিতান্তই সখের নেশায়।
আসর চালাতে গেলে লাগে কিছু টাকা
আত্ম ভোলা কবিদের পকেট থাকে ফাঁকা।
দশ – বিশ টাকা তাই নিজেরাই চাঁদা দেয়
সেই ফান্ডে কবিগনে মিটিং শেষে চা খায়।