চাটমোহরে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কার্যক্রম এখনো আলোর মুখ দেখেনি

Spread the love
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
পাবনার চাটমোহরে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কার্যক্রম এখনো আলোর মুখ দেখেনি। একজনও পেনশন স্কীমের আওতায় আসেনি। মানুষ ব্যাংক শুনতে আসে। কিন্তু কেউই এখনো করেনি বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ব্যাংক কতৃপক্ষ।
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় মোট ছয়টি স্কিমের কথা ঘোষণা করা হলেও আপাতত চারটি স্কিম চালু করা হয়েছে। এই চারটি স্কিম হলো- প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। এ দিকে গত ১৭ আগস্ট পেনশন স্কিম উদ্বোধনের পর ৪০ দিন পার হলেও পাবনার চাটমোহর সোনালী ব্যাংকে এখন পর্যন্ত একজনও ‘পেনশন হিসাব’ খোলেননি। সরকারি চাকরিজীবীর বাইরে থাকা দেশে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে পেনশন স্কিমে আনার জন্য সরকার এই পেনশন স্কিম চালু করলেও চাটমোহরে এখন পর্যন্ত তা কোনো সাড়া ফেলতে পারেনি।
চাটমোহরের হরিপুর মসজিদ পাড়া সিদ্দিকীয়া আলিম মাদরাসার বাংলা বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক আব্দুস সালাম জানান, এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। এর ফলে মানুষ সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ হবে। যারা পেনশন হিসাব খুলবেন তারা লাভবান হবেন। তবে চাটমোহর পৌর সদরের ছোট শালিখা মহল্লার ব্যবসায়ী আশরাফুল হক ভিন্ন মত প্রকাশ করে বলেন, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা একটি দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া। এটি সফলতার মুখ দেখবে বলে আমার মনে হয় না। শ্রমিক শ্রেণী, নিন্ম ও মধ্যবিত্তরা আগ্রহী হবে হয়তো, কিন্তু তাদের অনেকের পক্ষেই দীর্ঘ দিন ধরে প্রিমিয়াম চালিয়ে যাওয়া কষ্টকর হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষ সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সঞ্চয় করা বা পেনশনের কথা তারা চিন্তা করারও সময় পাচ্ছে না।
উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগশুয়াইল গ্রামের ভ্যান চালক নয়ন হোসেন জানান, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। তিনি শোনেনওনি কিছু। চরসেন গ্রামের বওশা বাজার এলাকার ব্যবসায়ী বাবুল আকতার বলেন, আমার কাছে মনে হয় সার্বজনীন পেনশন বীমার চেয়ে ডিপিএস ভালো। এ ক্ষেত্রে লাভসহ গচ্ছিত টাকা নিজের অ্যাকাউন্টেই থাকবে। পরে সেই টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা লাভজনক হবে।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড চাটমোহর শাখার ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিক মঙ্গলবার জানান, সার্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে আগ্রহী অনেকেই ব্যাংকে আসছেন। তবে এই ব্যাংক শাখায় এখন পর্যন্ত কেউ পেনশন হিসাব খোলেননি।
চাটমোহরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পাবনার চাটমোহরে পুকুরের পানিতে ডুবে আরাফাত রহমান (৭) নামের এক শিশু মারা গেছে। সে উপজেলার পাশ্বর্ডাঙ্গা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলারে ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে।
জানা গেছে, শিশু আরাফাত বাড়ির পাশের পুকুরে অন্যদের সাথে গোসল করতে যায়। এক সময় সবার অগোচরে পানিতে ডুবে যায়। খোঁজাখুজির এত পর্যায়ে পানি থেকে তুলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD