চলনবিল বার্তা, সংখ্যা ৭, ২০২৩

Spread the love

বাংলাদেশে মার্কিন ভিসানীতির প্রয়োগ শুরু 

ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বাংলাদেশের কিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর আজ শুক্রবার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করার ঘোষণা দেওয়ার পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে। তবে কতজনের ওপর এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা জানান নি তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বলেছেন, ‘আমরা যখন এই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছি, তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঘটনাবলির ওপর গভীর দৃষ্টি রাখছে। সতর্কতার সঙ্গে তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনার পর আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছি।’মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় আসা ব্যক্তিদের নাম যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ করবে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘না, এসব ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় আসা ব্যক্তিদের নাম আমরা প্রকাশ করব না।’ কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ভিসা রেকর্ড গোপনীয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, এসব ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে ক্ষুন্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত অন্য ব্যক্তিরাও ভবিষ্যতে এই নীতির আওতায় ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। এসব ব্যক্তির মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োাগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা রয়েছেন। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না দেশটি। সূত্র: প্রথম আলো।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না। কারণ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে গেলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাহায্য লাগবে।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে নিউইয়র্কের জাতিসংঘের চলমান সাধারণ অধিবেশনের দিনের কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক দল না পাঠানো প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকাংশ দেশে কোনো ইলেকশন অবজারভার যায় না। আমেরিকায় বিদেশ থেকে কোনো ইলেকশন অবজারভার আসে না। ইংল্যান্ডে এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতেও যায় না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, তাদের দেশেও পর্যবেক্ষক অনুমোদন দেওয়া হয় না। তা হলে আমার দেশে নির্বাচন হবে, অন্যরা এসে কি ওকালতি করবে? আমাদের দৈন্য অবস্থা, আমরা অনেক দিন উপনিবেশে ছিলাম। তাই বিদেশিরা যদি বলেন, এটা ভালো, আমরা মনে করি ভালো। আর বিদেশিরা যদি বলেন কালো, আমরা মনে করি কালো। তবে এখনো একটা কালচার রয়ে গেছে, তাই আমরা বিদেশিদের নির্বাচনে স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি মনে করি ইলেকশন পর্যবেক্ষণ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত। এটা ভুল সংস্কৃতি। আমরা ২০০৯ থেকে কয়েক হাজার নির্বাচন করেছি। দু-একটি ছাড়া অধিকাংশ সুষ্ঠু হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর।

‘নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল কী
করল না এতে কিছু যায় আসে না’ 

ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল কী করল না এতে কিছুই যায় আসে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতে যখন নির্বাচন হয় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা তখন কি সেখানে যায়? ভারতের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয়, সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? যায় না।
গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আগামী নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে ইনশাল্লাহ। আমাদের এটি নিয়ে বিএনপিকে আর দেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউর পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে। সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। সুতরাং আমাদের নির্বাচন আমরাই করব। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে ১০০ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। সূত্র: যুগান্তর।

বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তি বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও স্কলারদের উদ্দেশে বলেছেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আমরা এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি।২০৩৭ সালের মধ্যে আমরা ২০তম হব। পাশাপাশি ২০২৬ সাল নাগাদ আমরা একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হব।
২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যাশা করছি। গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠানে এক ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও স্কলারদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।‘বাংলাদেশ ইকোনমি অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ বিষয়ক এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মূল বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. বিরূপাক্ষ পাল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যাশা করছি। সূত্র: প্রতিদিনের সংবাদ।

সরকার পদত্যাগ না করলে
দেশ সংঘাতের দিকে যাবে 

ডেস্ক রিপোর্ট : সরকার পদত্যাগ না করলে দেশ সংঘাতের দিকে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নাম না নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘যতদিন আপনি থাকবেন এটা আরো খারাপের দিকে যাবে এবং সংঘাত আরো বাড়তে থাকবে।’ গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এমন শঙ্কার কথা জানান তিনি। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত ‘রোড মার্চ’ করেছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনো সংঘাত শুরু হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে জনগণ রুখে দাঁড়াবে। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে এটা। জনগণই তাদের অধিকার আদায় করবে। তারা তো লড়াই করে, যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছে। ১৯৯০ সালে এরশাদের সময়ে লড়াই করে, সংগ্রাম করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। এখনো লড়াই, সংগ্রাম করছে। আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দেশকে রক্ষার জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য, মানুষের অধিকার রক্ষা করার জন্য আপনারা দয়া করে এ জায়গা থেকে সরে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের দাবি তো আমরা সেজন্যই জানিয়েছি। প্লিজ এ জায়গা থেকে সরে আসেন, পদত্যাগ করেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের একটা সরকার যেন নির্বাচিত করতে পারে, জনগণের পার্লামেন্ট যেন গঠন করতে পারে তার ব্যবস্থা করেন।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা পরিষ্কার করে বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নেই। এখানে পর্যবেক্ষক টিম পাঠানোর পরিবেশ নেই।’ সূত্র: আমাদের সময়।

পশ্চিমারা বাংলাদেশের নির্বাচন 
থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে: ১২ দলীয় জোট

ডেস্ক রিপোর্ট : ১২ দলীয় জোট নেতারা বলেছেন, এ সরকারের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বসহ কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমর্থন নেই। এসব রাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অবাধ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের শঙ্কা ও গণতন্ত্রহীনতার কারণে এ গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো আসন্ন নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে তারা জানিয়ে দিয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর পানির টাংকির সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে জোট নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিজয়নগর থেকে শুরু হয়ে নাইটিংগেল মোড় ঘুরে পুরানা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. ইবরাহীম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বি এম এল) চেয়ারম্যান প্রমুখ। জোটের নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্রকে হিমঘরে পাঠায়। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাই ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, অথচ একদলীয় বাকশাল গঠন করে আওয়ামী লীগ সেই চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সূত্র: সমকাল।

সরকার দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে: কর্নেল অলি

ডেস্ক রিপোর্ট : বর্তমান সরকার সমগ্র দেশকে অরাজকতা, অপশাসন এবং দুর্নীতির দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। গত শুক্রবার রাজধানীর পূর্ব পান্থপথের এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এলডিপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, সরকার নির্বিকার, জনগণ লাওয়ারিশ। দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার না থাকলে জনগণের খোঁজ খবর নিবে কে। সকলে নিজের নিজের ধান্দায় ব্যস্ত। অন্যদিকে অতিবর্ষণ ও বন্যার কারণে মানুষের কষ্টের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন বা পরিত্রাণের কোনো লক্ষণ নেই। গরিবের ভাগ্য উন্নয়নের কোনো প্রকল্প নেই।
কর্নেল অলি আহমদ আরও বলেন, সরকারের অযোগ্যতা, অক্ষমতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে জনগণ মানবেতর জীবনযাপন করছে। নিত্যপণ্যের মূল্য হুহু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য নাই। এমনকি ডিম এবং আলুও বিদেশ থেকে আমদানি করার ব্যবস্থা হচ্ছে। রপ্তানি আয় প্রতিনিয়ত কমে এসেছে। আমদানিখাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে নতুন কোনো বিনিয়োগ হচ্ছে না। কাঁচামালের অভাবে ইতোমধ্যে অনেকগুলি কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন অর্ডারের অভাবে কয়েকশত গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। বেকারদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণের বাঁচা মরার লড়াই, এদিকে সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নাই। সূত্র: আমাদের সময়।

রাহুল গান্ধী রেলস্টেশনের ‘কুলি’ 

ডেস্ক রিপোর্ট : গায়ে স্টেশন কুলিদের লাল জামা। মাথায় যাত্রীদের লাগেজ। দু’হাতে মাথায় ভার ধরে হাঁটছেন। গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতের দিল্লি আনন্দ বিহার রেলস্টেশনে এভাবেই দেখা গেল ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি ও আনন্দবাজার অনলাইন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এদিন স্টেশন চত্বরে কুলিদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলেন রাহুল। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে কংগ্রেসের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখা হয়, জননেতা রাহুল দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশনে কুলিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে তিনি কুলি এবং মালবাহকদের কথা শোনেন। ভারত জোড়ো যাত্রা এখনও চলছে।
বিভিন্ন পেশার মানুষদের সঙ্গে জনসংযোগ করতে রাহুলকে আগেও দেখা গেছে। গত জুনে দিল্লির করোল বাগ এলাকার একটি গ্যারেজে মিস্ত্রিদের সঙ্গে বসে বাইক সারাতে দেখা যায় তাকে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওয়াশিংটন থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত ট্রাকে সফর করেন রাহুল।ভারতীয় বংশোদ্ভূত ট্রাক চালকরা প্রতিদিন কী কী সমস্যায় পড়েন, তা নিয়ে কথা বলেন রাহুল। একইভাবে দিল্লি থেকে চন্ডিগড় পর্যন্ত ট্রাকে চড়ে ভারতীয় ট্রাকচালকদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেন তিনি। আবার কর্নাটকে ভোটের প্রচারে গিয়ে অ্যাপভিত্তিক স্কুটারেও চড়তে দেখা যায় রাহুলকে। সূত্র: প্রতিদিনের সংবাদ।

সিংড়ায় মেয়েকে ধর্ষণ
চেষ্টার অভিযোগে পিতা গ্রেফতার 

সিংড়া প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়ায় মেয়েকে (১১) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের শালমারা গ্রামে। পুলিশ অভিযুক্ত বাবা শাহিন মন্ডলকে (৩০) গ্রেফতার করেছে।গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে নিজ গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী মেয়ের মা বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার সময় বাড়ির পাশে ভাসুরের বাড়িতে মাছ কাটতে যায় ভুক্তভোগী শিশুর মা। বাড়িতে কেউ না থাকায় তার বাবা মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ভূক্তভোগী মেয়ের মা এসে ধর্ষণ চেষ্টারত অবস্থায় দেখে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়। খবর পেয়ে সিংড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনার বিষয় পুলিশকে বলে। পরে তার মা বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের মা থানায় মামলা করেছে। রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

রায়গঞ্জের রুপাখাড়ায়
ড. হোসেন মনসুরের গণসংযোগ 

আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার : গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জের সোনাখাড়া ইউপির রুপাখাড়া বাজারের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রায়গঞ্জ-তাড়াশ এলাকা হতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক জিএস বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডঃ হোসেন মনসুর ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
সাবেক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কে এম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দেশীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জ্ঞানেন্দ্র নাথ বসাক, মাগুড়া বিনোদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম বুলবুল, সোনাখাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন ছানা, রায়গঞ্জ প্রেস ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিমগাছি অনার্স কলেজের সাবেক শিক্ষক ও বিশিষ্ট কবি আলহাজ্ব এম এ হাশিম সরকার মনি,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আশরাফ আলী সরকার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মজিবর রহমান মাস্টার, সাবেক ইউপি সচিব আলহাজ্ব লুৎফর রহমান সরকার দুলাল, সাবেক মেম্বর বাচ্চু সরকার, চানু তালুকদার, সাচ্চুসহ ওয়ার্ডের বহু নেতা-কর্মী ও গন্যমান্যজন। সভা সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সোনাখাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জিএস রোকনুজ্জামান রোকন।

সরকারই মারে ফেল

আবদুর রাজ্জাক রাজু

আলু-ডিম-পেঁয়াজের দর বাঁধে সরকার
লক্ষ্যটা মূল্যের লাগাম টানা দরকার।
জনগণও জানালো তৎক্ষণাৎ সাধুবাদ
পরদিনই বুঝা গেল সব কিছু বরবাদ।
কেউ কিছু মানছে না নেই কোন ভয়-ডর
ব্যবসায়ীরা একটুও হলো না কো নড়চর।
কার্যকর হয় না তো সরকারী নির্দেশ
সরিষাতেই আছে ভূত পাবলিকের দম শেষ।
বিশ্ব বাজারে যখন পণ্যের কমে দাম
আজব এ দেশেতে চলে সব উর্দ্ধধাম।
বাজারের আগুনে পুড়ে দেশ হল ছাড়খার
তবুও বেড়েই চলে উন্নয়নের যত জোয়ার।
সরকারও ব্যর্থ হল রুখতে সিন্ডিকেট
ওখানে লুকিয়ে আছে সরকার-ঘেঁষা ‘পেট’।
ডিম করে আমদানি আরো করবে আলু
সফল-বিজয়ী তারা যারা তোলে বালু।
এই হল এ দেশের অর্থনীতির যাদু-খেল্
দাম বেঁধে দিয়ে তাই সরকারই মারে ফেল।

বিনসাড়া হাটে জায়গা বিক্রয়
বিনসাড়া হাটের কেন্দ্রস্থলে পাকা রাস্তা সংলগ্ন ৮.৫০ শতক
জমি (দোকান-ব্যবসা করার উপযুক্ত) বিক্রয় করা হবে।
যোগাযোগ মোবাইল ঃ ০১৭১৩-৭৪৭৭৩১, ০১৭১৬-১৮৭৩৯২

লাইফ সাপোর্টে 
তাড়াশ উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী

আবদুর রাজ্জাক রাজু
তাড়াশ উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী বর্তমানে একটি ভবন-সর্বস্ব প্রাণহীন মৃতপ্রায় পাঠাগারে পরিণত হয়ে বন্ধ আর স্থবির অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন হলো। তাড়াশের প্রয়াত কাজী রুহুল আমীন, মুত্তালিব শিশির, হোসনেয়ারা নাসরিন দোলন ও মোজাম্মেল হক মাসুদ গংদের কার্যক্রম মূল্যায়ন করলে কেউ কোন গুণে মানে উতরে যায় না অন্তত: এই পাঠাগারের উন্নতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের অবদানের ক্ষেত্রে। বিশেষ উল্লেখ্য,এ লাইব্রেরীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু থেকে এ চারজনই বিগত বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় এক যুগ এই পাঠাগারের ‘সম্পাদক’ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রকৃত অর্থে তাদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও নিষ্ঠার যথাযথ পর্যালোচনা করলে শুধু হতাশ হওয়া ছাড়া আর কোন সান্তনা পাওয়ার কিছু নেই। কেননা তারা এটাকে দিতে পারেননি কিছুই। অধিকন্ত এই লাইব্রেরীকে এগিয়ে না নিয়ে পিছিয়ে রেখে গেছেন খাদের কিনারে। এখন এটাকে আর টেনে তোলা যাচ্ছে না সহজে। বলা যায় এই লাইব্রেরী বর্তমানে আইসিইউতে অবস্থান করছে। মূলত: প্রশাসনিক তরফ থেকে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদাধিকার বলে এ পাঠাগারের সভাপতি হলেও তার এই পদমর্যাদা আসলে আলংকারিক। স্থানীয় নাগরিক সমাজের নেতৃত্ব, প্রয়াস-প্রচেষ্টাই এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। তারা যা কিছু ভালো মনে করেন তার সাথে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সহমতে থাকেন এটাই নিয়ম। এর ব্যত্যয় হলে প্রশাসন নিশ্চুপ থাকে। নাগরিক সমাজ এ ব্যাপারে নিস্ক্রীয় হলে পাঠাগারের সভাপতি তার বিশাল সরকারি কর্মযজ্ঞ বা দায়িত্ব ফেলে পাঠাগার সদস্যদের চাঙ্গা তথা সক্রিয় করার তার সময় কোথায়। ফলে এই পাবলিক লাইব্রেরীর শ্রী-বৃদ্ধির জন্য অর্থাৎ লাইব্রেরী হিসেবে এর যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ ও পরিচালনা করা প্রধানত: সম্পাদক ও কমিটি সদস্যদের উপর দায় বর্তায়। তারাই লাইব্রেরীর প্রকৃত করিৎকর্মা। স্থানীয় সুশিল ও নাগরিক সমাজের উপর নির্ভর করে পাবলিক পাঠাগারের অগ্রগতি এবং অবনতি। বাইরের কেউ এসে এটা করে দেবে সেটা ভুল ধারণা।

অথচ গত প্রায় এক যুগে আমরা দেখলাম, উল্লেখিত পরপর চারটি কমিটি সত্যকার অর্থে এই পাঠাগারের কোন প্রকৃত উন্নতি করতে পারে নি। বরং এটাকে পুঁজি করে তারা খ্যাতি, সম্মান, প্রভাব ও অবশেষে সামান্য হলেও কিছু অর্থ-স্বার্থের গন্ধে মগ্ন থেকেছে। লাইব্রেরীর তথ্য বোর্ডে নাম লেখানোই নেতাদের প্রধান আকর্ষণ। প্রথমে এই লাইব্রেরীর দায়িত্বশীল জনৈক নেতা এর ফার্নিচার ভাগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। অন্য আরেকজন বই মেলায় লাইব্রেরীর বই প্রদর্শনের নামে তা বিক্রি করে খেয়েছেন। একজন লাইব্রেরীর পক্ষে নিজের নামে ক্রেস্ট বানিয়ে নিজেই নিয়েছেন। সবশেষে আজো যা বহাল আছে, তা হল পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে এবং বিগত দুই বছর যাবত কোন কমিটি না থাকলেও এই লাইব্রেরীর জীবন সদস্য, সাধারণ সদস্য করার নামে নিয়মবহির্ভূত উপায়ে বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে অবিরত চাঁদার টাকা তোলা আর তা নিজ পকেটে ভরা হচ্ছে যা থেকে বিরত থাকার লক্ষণ নেই এবং তা নিয়ন্ত্রণেরও নেই কেউ। কে কখন কীভাবে সদস্য হচ্ছে তা বুঝা দুস্কর। ফলে এর সদস্য কাঠামো অত্যন্ত ভেজাল ও ত্রæটিপূর্ণ। এই হল লাইব্রেরীর বিগত নেতাদের কীর্তি, কৃতিত্ব । মনে রাখতে হবে, একটি পাঠাগারের অবকাঠামো উন্নয়ন মানে আসল উন্নয়ন নয়। সেখানে বই পড়াসহ লাইব্রেরীর সামগ্রিক প্রাসঙ্গিক পরিবেশ ও তৎপড়তা নিশ্চিত করাই প্রকৃত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য।

এখানে এক ধরনের আত্মসাৎ, দুর্নীতি বিস্তার লাভ করেছে যা দেখার কেউ নেই। কারণ এখানে রক্ষকই ভক্ষক। এই লাইব্রেরী একটি মগের মুল্লুক বা মালিক মওলাবিহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে বড় যে দূষণ এখানে ছড়িয়েছে, তা হল রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ। এই রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন আমাদের দেশ ও সমাজ বর্তমানে বিষাক্ত করে তুলেছে। অনুরুপ এই পাঠাগারেও সেই দলবাজি ও নোংরা রাজনীতির আছর বা ছোয়া লেগেছে। উল্লেখিত চারটি মেয়াদের নেতৃত্ব লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এর তিনটিই রাজনৈতিক গুটিচালে আবর্তিত হয়েছে যেহেতু তারা একটি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য। এমন কি তা লাইব্রেরীর নির্বাচনের পরিবেশকে রাজনৈতিক সংকীর্ণ অপচ্ছায়ায় নিয়ন্ত্রিত এবং কলুষিত করেছে। অপরদিকে এই লাইব্রেরী আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে, বই পুস্তক সংগ্রহ-সংরক্ষণ সংক্রান্ত, গঠনতান্ত্রিক নিয়মে মিটিং, কমিটি,নির্বাচনসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা, জবাবদিহিতা এসবের চর্চার কোন বালাই নেই। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার কবলে এটা এখন পড়ে আছে লাইফ সাপোর্টে। এই লাইব্রেরীর কক্ষ ভাড়া দিয়ে যে উপার্জন হয় তারও হিসেব নেই। এভাবে পাঠাগারটিতে রামরাজত্ব কায়েমের একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বড় সমস্যা হল লাইব্রেরী মনস্ক, সাহিত্য-সংস্কৃতি অনুরাগী কোন ত্যাগী সজ্জন এই লাইব্রেরীর হাল ধরার সুযোগ পান না তা প্রমাণিত হয়েছে অতীতে। যারা প্রকৃত বইপ্রেমী, নিবেদিত-উৎসর্গিত সংগঠক তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়নি। এখানে নির্বাচন হয় রাজনৈতিক আদলে, নেতৃত্বে আসে রাজনীতি থেকে এবং এটাকে শোষণ ও লুটেপুটেও খায় তারাই। তাই যতদিন এই বিশৃংখল ও অনৈতিক-অবক্ষয়ের ধারা-বৈশিষ্ট্যের অবসান না হবে ততদিন এই লাইব্রেরী , অকার্যকর, নিরানন্দ ও মৃত পড়ে থাকবে। সর্বাগ্রে এটাকে নোংরা ও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক গ্রাস থেকে মুক্ত করতে হবে। সাহিত্য-শিল্প এবং সংস্কৃতির চর্চা ও প্রসারে তাড়াশে কোন লাইব্রেরী না থাকা খুবই বেদনাদায়ক। এখানে উপজেলা, পৌরসভা সহ সরকারি-বেসরকারি বহু প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা রয়েছে। অথচ সদরে “স্বাস্থ্যের হাসপাতাল” থাকলেও “মনের হাসপাতাল” একমাত্র লাইব্রেরী নির্র্জীব ও নিশ্চল পড়ে আছে দীর্ঘকাল যাবৎ তা এই সমাজের কারো বিবেকে বাধে না। একটি সভ্য-সমৃদ্ধ উন্নত জাতি গড়ার জন্য লাইব্রেরী অপরিহার্য। আমরা আমাদের শিশু-কিশোর, তরুণ-যুবকদের মোবাইল আসক্তি কিংবা প্রযুক্তির নেশায় ধ্বংস হওয়ার কথা বলে দুশ্চিন্তা, অনুশোচনা করি। পক্ষান্তরে দু:খজনক হল,তাদের সুকুমার বৃত্তি ও সৃষ্টিশীল বিকাশের জন্য পাঠাগারমুখি করার কথা ভাবতে পারি না। তাই আগের গতানুগতিক অনুশীলন-অপকালচার বাদ দিয়ে বাস্তব ও যুক্তিসম্মত ফলপ্রসূ একটি পক্ষপাতহীন ব্যবস্থাপনা সিস্টেমই কেবল এই লাইব্রেরীকে পূনরুজ্জীবিত করতে পারে। আমরা তাড়াশবাসী তাড়াশ উপজেলার একমাত্র লাইব্রেরীটি সচল ও সক্রিয় দেখতে চাই। এটাকে বাঁচাতে তথা রক্ষা করতে হলে প্রশাসনের সহযোগীতায় সংশ্লিষ্ট সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় চিন্তাশীল সব শুভবুদ্ধির মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এই লাইব্রেরীকে টিকিয়ে রাখা আমাদের সবার সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ব। এর সুফল তথা কল্যাণকর দিক আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কত উপকারি তা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।

সিংড়ায় ভাসমান হাঁসের খামারে
স্বাবলম্বী শতাধিক পরিবার ছবি

মো. শহিদুল ইসলাম সুইট, সিংড়া :নাটোরের সিংড়ায় ভাসমান খামারে হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শতাধিক পরিবার। অনেকেই এই উদ্যোগকে অনুসরণ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বিল-জলাশয় ও নদীর উন্মুক্ত পানি থাকায় এ উপজেলায় হাঁস পালন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। পাশাপাশি ডিম ও মাংসের চাহিদাও প‚রণ হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলায় ছোট-বড় মিলে শতাধিক হাঁসের খামার রয়েছে। ক্যাম্বেল, ইন্ডিয়ান রানার ও চায়না জাতের ১০ লাখের বেশি হাঁস পালন করা হচ্ছে এসব খামারে। তবে রোগ প্রতিরোধ-ক্ষমতা ও বেশি ডিম দেওয়ার কারণে ক্যাম্বেল জাতের হাঁস বেশি পালন করা হচ্ছে। বর্ষায় চলনবিল ও শুকনো মৌসুমে উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নন্দকুঁজা, আত্রাইসহ নদ-নদীতে এসব হাঁস পালন করে থাকেন খামারিরা। হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হওয়া এসব পরিবার বছরের পুরোটা সময় হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
ম‚লত হাঁসের ডিম বিক্রি করেই সংসারের খরচ মেটায় ওইসব পরিবার। তাছাড়া ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচের যোগান দেওয়া হয়। সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অনেক পরিবার নিজ উদ্যোগে উন্মুক্ত বিলে হাঁস পালন করে আসছেন। এর মধ্যে ডাহিয়া, আয়েশ, বিয়াশ, বলিয়াবাড়ী, কালিনগর, কৃষ্ণনগর, আনন্দনগর, সাতপুকুরিয়া, বড়িয়া, শহরবাড়ি, কয়রাবাড়ি, নিংগইন, হিজলী ও কান্তনগর গ্রামের অনেক পরিবার হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
খামারিরা জানায়, সকাল থেকে হাঁসগুলো বিলে ছেড়ে দেওয়া হয়। সারাদিন কখনো পানিতে কখনো ডাঙ্গায় চড়তে থাকে। দিনভর হাঁস দেখাশোনা করার জন্য রাখাল রাখা হয়। সন্ধ্যা নেমে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিলের এক পাশে জাল দিয়ে ঘেরা এক জায়গায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে হাঁসগুলোর রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সকাল হলে আবার বিলে নেওয়া হয়। বিলে চড়ানো হচ্ছে বলে তেমন কোনো খরচ নেই। কেবলমাত্র একদিন বয়সের বাচ্চা কেনা, ওষুধপত্র, লোকবলের খরচ। কাজেই তাদের এই খামার অত্যন্ত লাভজনক। কোনো সহযোগিতা ছাড়াই এসব পরিবার স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে অনেকেই হাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে উঠবে বলেও জানান তারা।
উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। দিনমজুরি করে চালাতেন ছয়জনের সংসার। সেই অবস্থায় বছর খানেক আগে প্রতিবেশীর কাছ থেকে ধার করা টাকায় শুরু করেন হাঁস পালন। সেই হাঁসে ভর করে তার সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা। বছরজুড়ে হাঁস পালন করেন তিনি। এখন তার খামারে ক্যাম্বেল ও জিংডিং জাতের ৫৮২টি হাঁস রয়েছে। ডিম দিচ্ছে ৪৮০টি হাঁস। বছরে খরচ বাদে লাভ হচ্ছে তিন-চার লাখ টাকা।কালিনগর গ্রামের মন্টু আলী বলেন, সমিতি থেকে লোন নিয়ে হাঁস পালন করছি। তিনি হাঁস পালন করে সংসার চালান। গত বছর কলেরা রোগে ২০০টির মতো হাঁস মরে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন। বর্তমানে নতুন ৭০০টি হাঁস কিনে পালন শুরু করেছেন। ডিম বিক্রি করে লোকসান পুষিয়ে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
নিংগইন এলাকার খামারি সোহাগ আলী জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে হাঁস পালন করছি। হাঁস পালনে লাভ বেশি হওয়ায় আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি। কয়রাবাড়ি গ্রামের খামারি রমজান আলী বলেন, ৩০০টি হাঁস রয়েছে তার খামারে, ডিম দিচ্ছে ২৩০-২৪০টি। সেখান থেকেই চলে পুরো সংসার। তিনি আরও বলেন, হাঁস পালনে খরচ কম, লাভ বেশি। সরকার আমাদের সহযোগিতা করলে খামার বড় করতে পারবো।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কে এম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, সাধারণত একদিনের বাচ্চা থেকেই এসব হাঁস পালন শুরু করে থাকেন খামারিরা। ছয় মাস পর এসব হাঁস ডিম দিতে শুরু করে। প্রতিটি হাঁস বছরে ২০০ থেকে ৩০০টি ডিম দেয়। উন্মুক্ত জলাশয়ে বাড়তি খাবার কম লাগে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমও মেলে বেশি।তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের এসব মানুষ কম পুঁজি বিনিয়োগ করে লাভবান হচ্ছেন। ফলে বেকারত্ব দ‚র হচ্ছে। মিলছে আমিষের চাহিদাও। হাঁস পালনে খামারিদের সরকারিভাবে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

তাড়াশে এলজিইডি’র সাথে
ঠিকাদারের রশি টানাটানি 

তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) প্রায় ১০ কিলোমিটার জিসি সড়ক সংষ্কার প্রকল্পের বেশ কিছু অংশে কাজ না করেই সব বিল কৌশলে তুলে নেয়ার চেষ্টা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসের সাথে চলছে রশি টানাটানি। তাড়াশ প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় বন্যা ও দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন (এফ ডি ডি আর আই আর পি) প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পৌর সদরের খুঁটিগাছা আরএইচডি হতে নওগাঁ বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার জিসি সড়ক সংষ্কারের কার্যাদেশ পায় মেসার্স সরোয়ার জাহান এন্টারপ্রাইজ। যার চুক্তি মূল্য ধরা হয় ৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
এ দিকে অসমাপ্ত কাজের মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের সিডিউলে থাকা ৯৬ মিটার প্যালাসাইডিং, ২টি গাইডওয়াল, ১০টি গাইড পোস্ট ও প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা কার্পের্টিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়নি। তবুও কৌশলে চুক্তি মূল্যের ৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা বিল তুলে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন। মূল প্রাক্কলনের সিডিউলে থাকা কিছু আইটেম বাস্তবতার নিরিখে প্রয়োজন না থাকায়, সরকারি অর্থ অপচয় রোধে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সে গুলো বাস্তবায়ন করা অপ্রয়োজনীয় মনে করেন। এ নিয়ে এলজিইডির ঢাকা ও পাবনা অফিসের দুটি তদন্ত কমিটি প্রকল্প পরিদর্শন করে সত্যতা খুঁজে পেয়েছেন। এ কারণে তারা কাজের অতিরিক্ত বিল পেতে পারেন না। এতে সমুদয় বিল তুলে নিলে সরকারের লোকসান হবে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
জানা গেছে, রাস্তাটি সংষ্কারের জন্য ২০২০-২১ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে বন্যা ও দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পল্লি সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন (এফ ডি ডি আর আই আর পি) প্রকল্পের আওতায় একটি দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ প্রকাশ করলে কার্যাদেশ পায় ঢাকার মেসার্স ডলি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। দরপত্রে উল্লেখ ছিল মূল রাস্তা ১২ ফিট সংষ্কারের পাশাপাশি দুপাশে প্রশস্ত করণ হবে ০.৯ ও ০.৯ ফিট। কার্যাদেশ পাওয়ার পর সে সময়কার ডলি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ঠিকাদার হার্ডসোল্ডালের কাজ গায়েব করে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলে ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যায়। পরবর্তীতে ২০২১-২২ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বন্যা ও দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পল্লি সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন (এফ ডি ডি আর আই আর পি) প্রকল্পের আওতায় পুণরায় ওই রাস্তার সংষ্কারের জন্য আবারও দরপত্র আহবান করা হয়। প্রকল্প গ্রহণ করে ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা প্রাক্কলন তৈরি করা হয়। সে মোতাবেক ৬ কোটি ২৩ লাখ টাকার সর্বোনি¤œœ দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ পান নেত্রকোনার মদন উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরোয়ার জাহান এন্টারপ্রাইজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি কার্যাদেশ দেয়া হয়। ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর তারা প্রকল্পের কাজ শেষ করেন। পরবর্তীতে বিলের আবেদন করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তবে ওই প্রকল্পের যাবতীয় তদারকি, মালামাল সরবরাহ ও বিল প্রস্তুতের সমস্ত কাজ করেছেন মাহবুব আলম খাঁন। এবং এলজিইডি কর্র্তৃপক্ষকে তার পেশা সহ বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন বিল ছেড়ে দেয়ার জন্য।তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছেন, ঠিকাদারের লোকজন কাজ না করেই অতিরিক্ত বিলের জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি ও চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন। কিন্ত তারা এ চাপের কাছে নতী স্বীকার না করে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানালে, তাঁরা দুটি টিম তদন্ত করে ঘটনা সত্যতা পেয়ে স্কিম রিভাইজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।উপজেলার নওগাঁ বাজারের বাসিন্দা জাকির হোসেন রনি বলেন, কাজের ব্যবহৃত উপকরণও ছিল নি¤œমানের। যারফলে কিছু দিন যেতে না যেতেই দেখা যাবে দুপাশে দেবে যাচ্ছে।
বিরোইল গ্রামের বাসিন্দা মো. রুবেল বলেন, নওগাঁ বাজার এলাকায় কোনো ইউ ড্রেন নির্মাণ হয়নি। কাজ না করেই বিল তুলে নিলে সরকারের টাকা লোকসান হবে। মেসার্স সরোয়ার জাহান এন্টারপ্রাইজের সত্ত¡াধিকারী মো: সরোয়ার জাহান মুঠোফোনে বলেন, তাঁর লাইসেন্স হলেও ব্যবহার করেছেন সিরাজগঞ্জের ঠিকাদার মো: মাহবুব আলম খাঁন। এ কারণে কাজের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অপরদিকে সিরাজগঞ্জের ঠিকাদার মো: মাহবুব আলম খাঁনের কাছে প্রকল্পের কিছু অংশের কাজ না করে অতিরিক্ত বিলের দাবি প্রসঙ্গে জানতে চওয়া হলে তিনিও বলেন, এ প্রকল্পে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ কারণে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। তাড়াশ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক, তাড়াশ উপজেলায় তিনি সদ্য যোগদান করেছেন। তবে প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে ঢাকা ও পাবনার এলজিইডির দুটি টিম তদন্ত করেছেন। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক বিল দেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম বলেন, মূল প্রাক্কলনে ভুলবশত: খোয়ার পরিমান কম ছিল। পরবর্তীতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে একটি রি-কাস্ট প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়। যা মূল প্রাক্কলনের ৩.৪৪% নি¤œ। মূল প্রক্কলনে দুটি ইউ ড্রেন ধরা ছিল। পরিদর্শন করে দেখা যায় তা ভাল রয়েছে। এ কারণে নতুন করে আর নির্মাণ করার প্রয়োজন নেই। একইভাবে ৯৬ মিটার প্যালাসাইডিং মূল প্রাক্কলনে ধরা থাকলেও রি-কাস্ট প্রাক্কলে তা বাদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্ণিত কাজ গুলো না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিল তোলা অপচেষ্টা করে চলেছেন।

হাসপাতালের নার্স
আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার

হাসপাতালের নার্সদের চাকুরীটা বেশ কড়া
গভীর রাতেও রোগীর ডাকে দিতে হয় সাড়া।
সাধারণতঃ পালা করে ডিউটি ওরা সারে
বেশীর ভাগ এমন ঘটে পনের দিন পরে।
মাসের অর্ধেক কেউ হয়তো দিনের বেলা কর্তব্য করে
পরে রাতে ওর কাঁধে দায়িত্বের বোঝা পড়ে।
রাতের ডিউটির নার্সগণ ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে গেলে
রোগী বা তার স্বজন গিয়ে তাকেও টেনে তোলে।
অবসন্ন শরীর নিয়ে রোগীকে সেবা দেয়
অনেকের বাঁকা কথা নীরবে মেনে নেয়।
যন্ত্রনাকাতর রোগী বড় অসহায়
মাতৃস্নেহে নার্স মাথায় ওর হাত বুলায়।
ডাক্তারদের সাথে ওরা অপারেশন থিয়েটারে
সার্বিক জোগান দেয় খুবই নিষ্ঠাভরে।
ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে এ কারণে
মরনাপন্ন রোগী বাঁচায় চেষ্টা করে প্রাণপনে।
নার্স বা কারও ভূলে রোগীর মৃত্যু হলে
হসপিটালে তান্ডব চালায় মরহুমের স্বজন মিলে।
ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল হলেন মডেল ওদের চোখে
তাকে ওরা ধ্রæব নক্ষত্র হিসাবে দেখে থাকে।
শত বর্ষ পূর্বের সেই মহিয়সী সিস্টার
নার্সগণের আদর্শ কি দেখিয়েছেন নিদর্শন তার।
মহিলা নার্স হলে লোকে তারে সিস্টার কয়
সিস্টার মানে বোন যদিও আসলে সে তা নয়।
সেবা দেয় মায়ের মত কোথাও বা তার চেয়ে বেশী
সামান্য থ্যাংকস পেলে ওরা হয় সবচেয়ে খুশী।
ব্রাদার কয় নার্সকে যদি সে পুরুষ হয়
বেসরকারী হাসপাতালে স্যালারী খুব কম পায়।
মালিকপক্ষ ঠকায় ওদের ঠিকই রক্তচোষার মতো
এরপরেও নার্সগনে সেবা দিচ্ছে অবিরত।
আর্তের সেবা করা নার্সদের ধর্ম
জগতের মাঝে এটা শ্রেষ্ট কর্ম।

পঞ্চম শ্রেণির সুমাইয়া
স্কুল ছেড়ে চা বিক্রি

 ফিচার

মুফতি খোন্দকার আমিনুল ইসলাম আবদুল্লাহ ঃ বাবা শয্যাশায়ী, স্কুল ছেড়ে চা বিক্রি করছে সুমাইয়া। ‘চা বিক্রি না করলে খাবো কী? বৃদ্ধ বাবার ওষুধ কেনার টাকা পাবো কই? এজন্য স্কুল ছেড়ে বাবার চায়ের দোকানে বসে চা বিক্রি করি। এতে দিনে ২০০-৩০০ টাকা আয় হয়। এ দিয়ে সংসারে চাল-ডাল কেনার পর বাকি টাকা দিয়ে বাবার ওষুধ কিনি। গত একবছর এভাবেই চলছে।’ কথাগুলো বলছিল সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার গাঁড়াদহ ইউনিয়নের গাঁড়াদহ গ্রামের সায়েম আলী ফকিরের (৬৫) ছোট মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১১)। সে স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। বাবা অসুস্থ। কোনো কাজ করতে পারেন না। এজন্য গত একবছর ধরে পড়াশোনা ছেড়ে স্থানীয় হাটখোলা বাজারে চা বিক্রি করছে সুমাইয়া।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুমাইয়ার বাবা সায়েম আলী য²া রোগী। তার চিকিৎসার পেছনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে কিন্তু সুস্থ হননি। এখন তিনি শয্যাগত। মেয়ের কষ্টের কথা জানিয়ে বাবা সায়েম আলী ফকির চলনবিল বার্তাকে বলেন, ‘আমার নিজস্ব কোনো বাড়িঘর নেই। সরকারি খাস জায়গায় কিছু লোকের সহযোগিতায় একটি দোচালা ঘর তুলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করি। এতো অভাবের মধ্যে আমি দুরারোগ্য যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় মৃত্যুর প্রহর গুনছি। সংসার চালানোর মতো আর কোনো উপায় না থাকায় মেয়েটা চা বিক্রি করে। ওই টাকা ওষুধ কিনতেই শেষ হয়ে যায়।’সুমাইয়া চলনবিল বার্তাকে বলেন, ‘আমি আবার স্কুলে যেতে চাই। পড়ালেখা করতে চাই। বিত্তবানরা আর্থিক সহযোগিতা করলে আমি আবার স্কুলে যেতে পারতাম। পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পাড়তাম।’
সমাজের বিত্তবানদের সুমাইয়ার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় আব্দুল মান্নান চলনবিল বার্তাকে বলেন, ‘মেয়েটা অনেক মেধাবী। পড়াশোনা করার সুযোগ পেলে সে ভালো কিছু করতে পারবে।’গাঁড়াদহ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ইয়াকুব আলী আকন্দ বলেন, ‘সায়েম আলী ফকিরের কোনো ছেলে সন্তান নেই, শুধু চার মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ের বেশ আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। সে গার্মেন্টস শ্রমিক স্বামী ও সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকে। মেজ মেয়ে মারা গেছে। তৃতীয় মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছোট মেয়ে সুমাইয়া স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছিল। এখন সে চা বিক্রি করে।’শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান চলনবিল বার্তাকে বলেন, বাবার চিকিৎসা ও সংসার চালানোর জন্য স্কুল ছেড়ে চা বিক্রির বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে সুমাইয়ার পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইনশা আল্লাহ।

তাড়াশ পল্লী বিদ্যুতের ভুতুরে বিল
৫শ থেকে ২ হাজার ৩শ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার : আবাসিক মিটারে ৫শ টাকা বিল করা শুরু থেকে ২ হাজার ৩ শ ৩০ টাকা পর্যন্ত ভূয়া ও ভুতুরে বিল প্রদান করেছে তাড়াশ পরøী বিদ্যুৎ সমিতি। বিষয়টিতে বারবার অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি । এ ঘটনা তাড়াশ সদর গ্রামের জনৈক আবাসিক মিটার গ্রাহকের। তাড়াশ গ্রামের মিটার নং- ০০৯১৪১২, হিসাব নং- ০১-২২০-১৭২৪ মিটার গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সমীপে লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন, এই মিটারে ৫০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয় প্রায় ৬ মাস আগে। পরে তা ১২০০, ১৭০০ এবং সর্বশেষ চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ২৩০০ টাকার বিল দেয়া হয়েছে। এছাড়া জুন ও আগস্ট মাসের বিল প্রায় একই রকম দেয়া হয় যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, বানোয়াট ও ভূয়া বলে মনে করি। এ ব্যাপারে ইতিপূর্বেও আপনাকে জানানো হলে আপনি কোন পদক্ষেপ নেন নি। অত্র পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, গ্রামের বহু সরল মানুষের ক্ষেত্রেও এই একই রকম ভূতুরে ও মনগড়া বিল দিয়ে পাবলিকের টাকা অবৈধভাবে শোষণ করছে যা নৈতিকতা ও মানবতার দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য। তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ এর অসংখ্য ভূয়া বিল সম্পর্কে ইতিপূর্বে সংবাদপত্রে বহু রিপোর্ট প্রকাশ হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয় নি। ৫০০ টাকা থেকে ২৩০০ টাকা বিল করার এই চিত্র সম্পূর্ণ অন্বাভাবিক,অবাস্তব, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আমার মনে হয়। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার পিবিএস এর ২ সদস্যের একটি দল উপরোক্ত মিটার গ্রাহকের বাসায় দীর্ঘ সময় ওয়্যারিং সিস্টেম ও মিটার পরীক্ষা করেও কোন ত্রæটি পাননি। এতে প্রমাণিত হয়, পল্লী বিদ্যুৎ মানুষকে সেবা দেয়ার নামে তাদের প্রতারিত করে নিজেদের পকেট ভারি করছে।

গুরুদাসপুরে মনোনয়ন পেতে সংবাদ সম্মেলন

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আটবার আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের প্রথমবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলাম। তিনি দলীয় কোন্দলের কারণে নানাভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। পরবর্তীতে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলেও সদ্য প্রয়াত স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস তার ঘনিষ্ঠজন আনোয়ার হোসেনকে নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে প্রকাশ্য বিরোধিতা করে তাকে পরাজিত করেন। এরপরও তিনি দলীয় আদর্শের প্রতি অনুগত থেকে নিরলসভাবে সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। তাই জীবনের শেষ বয়সে দলের প্রতি তার দীর্ঘদিনের ত্যাগের মূল্যায়ন হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দাবি করেন তিনি।গত শুক্রবার বিকেলে গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড়ে গরীবুল্লাহ কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে এ দাবি জানান জাহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেতে আবেগজড়িত কন্ঠে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান বাঁধন, প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম সরকার, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী, ব্যবসায়ী রজব আলীসহ জাহিদুল ইসলামের তিন শতাধিক কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

তাড়াশের মাগুরাবিনোদ ইউনিয়নে উন্নয়নের ছোঁয়া 

আরিফুল ইসলাম, তাড়াশ : বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নে সম্পূর্ণ বদলে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার মাগুরাবিনোদ ইউনিয়নের দৃশ্যপট। বর্তমান মাগুরা বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেট।
মেহেদী হাসান ম্যাগনেট বলেন, মাগুরাবিনোদ ইউনিয়ন হবে মডেল ইউনিয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রামকে শহরে পরিণত করার জন্য সরকারী সম্পদের শতভাগ সুষম বণ্টন, পরিকল্পিত রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, শতভাগ ভিক্ষুক মুক্তকরণ, সড়ক বাতি স্থাপন, পতিত জমিতে একযোগে বৃক্ষরোপণ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন, কৃষকদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান, পরিচ্ছন্ন হাট-বাজার, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অগ্রগতি, অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনা, শতভাগ বিদ্যুতায়নসহ স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতার মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের মাধ্যমে এই মডেল ইউনিয়ন গড়ে তোলা হচ্ছে।
চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেট আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং সিরাজগঞ্জ-৩ জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ এমপির ঐক্লান্তিকক প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে আমি মাগুরাবিনোদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ এমপির দিকনির্দেশনায় ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। মাগুরাবিনোদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী ফা জানান, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ এমপির পরিকল্পনায় মাগুরা বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেটের কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে এ ইউনিয়নের কৃষি উৎপাদন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, দারিদ্র্যমুক্তি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সরকারী সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে পুরো ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে মেহেদী হাসান ম্যাগনেট।

চলনবিলে নৌ-ভ্রমণের নামে নগ্নতা

তাড়াশ প্রতিনিধি :সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চলনবিলে নৌকা ভ্রমণের নামে নারীদের ভাড়া করে অশালীন নাচ পরিবেশনের অভিযোগে চার নারীসহ ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার মধ্যরাতে তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা , রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার তারাপুর ও টাঙ্গাইল জেলা মধুপুর উপজেলার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার একদল যুবক চারজন নারীকে ভাড়া করে এনে তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচ এলাকায় নৌকায় অশ্লীল নাচের সঙ্গে ফুর্তি করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ধামাইচ এলাকায় এ অভিযান চালায়। এ সময় একটি নৌকায় গান বাজনাসহ অল্লীলতা চলছিল। পুলিশ নৌকায় অভিযান চালিয়ে ১০ যুবক ও ৪ নারীকে আটক করে।তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, একদল যুবক চারজন নারীকে ভাড়া করে এনে নৌকায় ঘোরাঘুরি করছে। একই সঙ্গে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে ওই নারীদের সঙ্গে যুবকরা অশালীনভাবে নাচছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। গত রোববার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে চলনবিল অঞ্চলে নৌকা ভ্রমণের নামে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নারী এনে নৌকায় আনন্দ ফুর্তিতে মেতে ওঠে উঠতি যুবকরা। চলে মাদক সেবন ও দেহ ব্যবসা।

তাড়াশে জনপ্রিয় হয়ে
উঠছে আলোক ফাঁদ
সাব্বির আহম্মেদ,তাড়াশ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় কীটনাশক ব্যবহার না করে ক্ষতিকারক পোকা মাকড়ের কবল থেকে রোপা আমন ফসল রক্ষায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আলোক ফাঁদ। বিশেষ করে এখন ফসলের ক্ষতি করে এমন কারেন্ট পোকা, মাজরা পোকা, গান্ধি পোকা ও চুঙ্গি পোকাসহ বাদামী ঘাস ফড়িং দমনে জমিতে আলোক ফাঁদ বা পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার বেড়েছে।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালম, বারুহাঁস, নওগাঁ, তাড়াশ সদর, মাধাইনগর, দেশিগ্রাম ও তাড়াশ পৌর এলাকায় চলতি বছর প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আব্দুল গুটি, কাটারী ভোগ, ব্রি-৯০, ব্রি- ৪৯, ব্রি-৫১, ব্রি-৫৮, ব্রি-৩৪ ও ব্রি-৩৬ জাতের রোপা আমনের আবাদ করা হয়েছে। এ দিকে রোপা আমনের জমিতে রাসায়নিক সার দেয়ার পর থেকেই কিছু বাদামী ঘাসফড়িং বা কারেন্ট পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা ও চুঙ্গি-মাজরাসহ নানা ধরনের ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। সূর্য ডোবার সাথে সাথে রোপা আমন জমির মাঝ খানে বা পোকা আসে এমন স্থানে শক্ত বাঁশ-কাঠ কিংবা তিনটি লোহা দন্ড দিয়ে কাঠামো বানিয়ে সেখানে একটি পাত্রের মধ্যে পানি ও ডিটারজেন্ট পাউডার মিশানো হয়। পরে লোহা বাঁশ-কাঠের মাথায় একটি বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে রাখেন। আর বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে রাখার ফলে কিছুক্ষণ পর আলোর সাহায্যে ওই পাত্রে পোকা আসতে শুরু করে । এটাই আলোক ফাঁদ বা পাচিং পদ্ধতি।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পোকা মাকড় ফসল নষ্ট না করতে পারে তার জন্য কৃষকদের আলোক ফাঁদ বা পাচিং পদ্ধতির মাধ্যমে ক্ষতিকারক পোকা মাকড় নির্ধনে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফসল উৎপাদনে কীটনাশকের ব্যয় অনেক কমে এসেছে। যে কারণে আলোক ফাঁদ বা পাচিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

চলনবিলে শামুক নিধন
জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

লুৎফর রহমান, তাড়াশ সিরাজগঞ্জঃ চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অবাধে চলছে শামুক নিধন। এতে করে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকি মুখে পড়েছে। অথচ এক সময়ে জীববৈচিত্র্যের তীর্থভূমি ছিল এ চলনবিল।
জানা যায়, গত আট-দশ বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে বিলের বিভিন্ন অংশে জাল দিয়ে অবাধে চলছে শামুক নিধন। শামুক মূলত হাঁসের খামার, চিংড়ির ঘেঁরে ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। ভরা বর্ষা মৌসুমে এ উপজেলার ১৫/২০টি পয়েন্টে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণহারে শামুক নিধন চলছে। এভাবে প্রতিদিন নির্বিচারে শত শত টন শামুক নিধনের ফলে চলনবিলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলনবিলের তাড়াশ অংশে শামুক নিধনের মহোৎসব চলছে। কিছু মৌসুমি শামুক ব্যবসায়ী প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ টন শামুক সংগ্রহ করে বিক্রি করেছে। বর্ষাকালে চলনবিলে কোন কাজ থাকেনা তাই বাধ্য হয়েই উপার্জনের আশায় প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছোট ছোট নৌকা নিয়ে বিলের বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে ডুবে যাওয়া ফসলি জমি থেকে নেট জাল, হেসি জাল, মই জাল ও হাত দিয়ে শামুক সংগ্রহ করি। কামাড়শোন এলাকার মৌসুমী শামুক ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, প্রতিদিন ১৫-২০ ট্রাক শামুক চলে যাচ্ছে বাগেরহাট, যশোর, খুলনার চিংড়ির ঘেড়ে। বিশেষ করে নাটোর, রাজশাহী, নীলফামারী, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম অঞ্চলে হাঁসের খামারে শামুকের বেশ কদর রয়েছে। উপজেলার আমবাড়িয়া এলাকার শামুক ব্যবসায়ী ইয়াসিন আলী জানান, বর্ষা মৌসুমে আমন ধানের জমিতে প্রচুর পরিমাণ ছোট, মাঝারি ও বড় শামুক পাওয়া যায়। চলনবিল থেকে শামুক সংগ্রহ করে এলাকার লোকজন বস্তা প্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করে।এ দিকে শামুক নিধনের জন্য বিভাগীয় কোন দিক নির্দেশনা না থাকায় আমাদের কৃষি বিভাগের করণীয় কিছু নেই বলে জানালেন, তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবদুল্লাহ আল মামুন।এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যা অনুষদের ডিন ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তাড়াশের সন্তান ড. নজরুল ইসলাম জানান, চলনবিলে অবাধে শামুক নিধনের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। পাশাপাশি বিলের কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। এ ছাড়া শামুক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাওয়ায় চলনবিলের হাজার হাজার হাঁসের খামারের হাঁস তাদের এলাকায় প্রাকৃতিক খাদ্য শামুক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গুরুদাসপুরে আখচাষীদের মুখে হাসি

মোঃ আনোয়ার হোসেন সাগর, চলনবিল প্রতিনিধি : চলনবিলের গুরুদাসপুরে আখ চাষে বাম্পার ফলন এবং ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত বছর ৩০ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছিল। এ বছর তা বেড়ে ৩২ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে।
উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই কম-বেশি আখের চাষ হয়। তবে মশিন্দা, বামনকোলা, রানীগ্রাম, নয়াবাজার, চাঁচকৈড়, গুরুদাশপুর একটু বেশি চাষ হয়ে থাকে। এ উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আখ চাষ হলেও ঈশ্বরদী ১৬ ও ৩৬, টেনাই, বি.এস.আর.আই ৪১ ও ৪২ জাতের আখ বেশি চাষ হচ্ছে। দিনদিন আখ চাষে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে যে আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে লক্ষ্যমাত্রা দিন দিন অতিক্রম করবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ হারুনর রশিদ জানান, উপজেলার যে সব এলাকায় আখ চাষ বেশি হচ্ছে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ওই এলাকার আখচাষিদের প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী দেওয়া সহ আখ মাড়াই যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আখ লাগানো থেকে শুরু কওে উঠানো পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ধাপে সার প্রয়োগ ও রোগ বালাই নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে মাঠ পর্যায়ের কৃষিকর্মকর্তারা।

তাড়াশে স্কুল শিক্ষক আছে শিক্ষার্থী নেই
আরিফুল ইসলাম : সিরাজগঞ্জ তাড়াশের জাফর ইকবাল কারিগরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কাগজ-কলমে শিক্ষার্থী থাকলেও কিন্তু বাস্তবে নেই। শ্রেণিকক্ষে শূন্য শিক্ষার্থী। তবুও ২২ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির সবগুলো শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী শূন্য। বেঞ্চগুলো এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। শুধু অফিস কক্ষে কয়েকজন শিক্ষককে খোসগল্পে মেতে থাকতে দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ২০০১ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর এমপিওভুক্ত হয়। এরপর থেকে কোনো মতো শিক্ষাক্রম চলছিল। আবার বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট আব্দুল রাজ্জাক (বিএসসি)’র বিরুদ্ধে স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ম্যনেজিং কমিটির সভাপতির বরাবর। স্কুলের কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান জানান, স্কুলে রুটিন অনুযায়ী নিয়মিত ক্লাস তদারকি করা হয় না৷ ছাত্রী উপস্থিতি শূণ্যের কোঠায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেন্ডেন্ট সময়মত স্কুলে আসে না। স্কুলে ছাত্রী উপস্থিতি আছে কিনা সেটাও খোঁজ খবর নেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী শিক্ষক জানান, স্কুলে মোট শিক্ষার্থী ৭২ জন। কিন্তু শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম৷ আর শিক্ষক-কর্মচারী ২২জন। তবে শিক্ষার্থীরা কি কারণে স্কুলে আসে না তা জানি না।এ ব্যাপারে জাফর ইকবাল কারিগরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বলেন, অভিযোগ অনলাইনের মাধ্যমে পেয়েছি। সামনের মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল সালাম বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। ‘ওই প্রতিষ্ঠানের এমন অবস্থা সেটি আমি জানি না। তবে অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিনিয়র সচিব হলেন তাড়াশের কৃতি সন্তান আব্দুস সালাম
স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব পদে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক কে এম আব্দুস সালাম। গত সোমবার তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন ২০১৯ এর ধারা ৪৯ অনুযায়ী বিসিএস ( প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে অবসরোত্তর ছুটি ও সংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিতের শর্তে ২৭ সেপ্টেম্বর অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত রবিবার তাকে অবসরে পাঠিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছিল। সেই ছুটি স্থাপিত করে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিােয়গ দেওয়া হলো। বিশেষ উল্লেখ্য, কে এম আব্দুস সালাম সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার একজন কৃতি সন্তান এবং চলনবিলের তিনি সর্বপ্রথম সিনিয়র সচিব মর্যাদা উন্নীত হলেন। এজন্য তাড়াশ সমিতি ঢাকার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও এলাকাবাসীর পক্ষ হতে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। সূত্র: কালবেলা।

তাড়াশে সাংবাদিককে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। গুরুতর আহত ওই সাংবাদিকের নাম মুন্না হুসাইন। তিনি জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার তাড়াশ উপজেলা প্রতিনিধি ও সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তার ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
মুন্না হুসাইন উপজেলার মহেশরৌহালী গ্রামের হাচেন আলীর ছেলে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিজের হাঁসের ব্যবসার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর নিজ গ্রামের মধ্যে ইসমাইলের দোকানে বসে চা খাওয়ার শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভুলোর ভিটা নামক এক জায়গায় ইয়াবা ও গাজা ক্রয় বিক্রয় দেখতে পায়। দেখার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর নিজের হাতের মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলতে আরম্ভ করে। এসময় মাদক কারবারিরা দৌড়ে এসে ৫ থেকে ৬ জন মুন্না সাংবাদিককে এলোপাতারি কিলঘুসি ও লাথি মারে এবং গলায় গামছা লাগানোর সময় মুন্না একজনকে চিনতে পারে। তিনি হলেন তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দিন (৩৫)। তার বাড়ী মহেশরৌহালী, পিতাঃ মৃত আঃ মজিদ। মাদক কারবারিরা যাওয়ার সময় সাংবাদিক মুন্নার কাছ থেকে ব্যবসার ১ লক্ষ টাকা ও একটি ভিভো মোবাইল ফোন ছিন্তাই করে নিয়ে যায় ও তাকে হত্যার চেষ্টা করে। হত্যার পরিকল্পনা বুঝতে পেরে তিনি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁর চিৎকার শুনে ইসমাইলের দোকানের লোকজন বেরিয়ে আসে। লোকজনকে বেড়িয়ে আসতে দেখে মাদক কারবারিরা ৫ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় মাদকের ডিলার ৩নং ওয়ার্ডেও আলীগ সাধারণ সম্পাদক জামাল তাঁর নিজ বাড়িতে লুকিয়ে পড়ে।পরে মুন্নাকে তার প্রতিবেশী সোলায়মান ও জাহিদুল তাড়াশ সদর হাসপাতালে এনে অনুমানিক রাত ১২.৪৫ মিনিটে ভর্তি করে।তাড়াশ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, ভিকটিম পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, প্রচন্ড আঘাতের ফলে তার ফুসফুস ও হার্ট মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। তাড়াশ পৌর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ শরিফ উদ্দিন বলেন, মুন্না শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে নিয়ে এখন হাসপাতালে আছি। থানায় অভিযোগ করা হবে। দ্রæত এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।এদিকে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি শহিদুল ইসলামকে রাত্রি অনুমানিক ১২ দিকে এ ঘটনা জানানো হয়।ঘটনার প্রেক্ষিতে তাড়াশ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক রাজু সাংবাদিক মুন্নার উপর পাশবিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের অবিলম্বে সনাক্ত করে উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

তাড়াশে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

তাড়াশ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুকুরের পানিতে ডুবে মাহিম আহমেদ (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয ইউপি সদস্য রমিছা বেগম।
শিশুটির বাবা মানিক উদ্দিন জানান, মাহিম সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে খেলা করছিল। হঠাৎ তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দীর্ঘ সময় খোঁজা-খুঁজির পর বাড়ির পাশে পুকুরে শিশু মাহিমের ভাসমান লাশ পাওয়া যায়।

তাড়াশে এনজিওদের সমন্বয় সভা

স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত ২১ সেপ্টেম্বও গত বৃহস্পতিবার উপজেলায় কর্মরত রেসরকারি সংস্থাসমূহের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোয়েল রানা। উপজেলার বেশ ক’টি স্থানীয়-জাতীয় এনজিও প্রতিনিধি এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। তারা নিজ নিজ সংগঠনের চলমান কর্মসূচি বর্ণনা করেন। এ সময় এনজিওদের তরফে ‘পরিবর্তন’ এর উপপরিচালক রোখসানা খাতুন এবং গণ উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিবন্ধী একীভূত শিক্ষা প্রকল্পের আতাউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ইউএনও সোয়েল রানা আগামীতে আরো কার্যকর ও নিয়মিত এনজিও সমন্বয় সভা করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে মাঠ পর্যায়ে স্ব স্ব সংস্থার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাত রাখার আহবান জানান।
রায়গঞ্জে বিদ্যালয়ে রান্না শিখল শিক্ষার্থীরা

জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জঃ বিদ্যালয়ে কেউ কাটছে আলু, কেউ মরিচ কিংবা লাউ-পেঁপে। কারও ব্যস্ততা চুলায় আগুন জ্বালাতে। আবার কারও অন্যসব জিনিসপত্র আনা-নেওয়ায়। এসব কাজে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রয়েছেন শিক্ষকরাও। সবাই একেক কাজে ব্যস্ত। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার দাদপুর সাহেবগঞ্জ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ১০৫ শিক্ষার্থী এভাবেই বিদ্যালয়ে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে।
শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি, জ্ঞান, যোগ্যতা, মূল্যবোধ ও সখ্য বাড়াতে জাতীয় শিক্ষাক্রমের মূল ভিত্তিতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দাদপুর সাহেবগঞ্জ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা বিষয়ের স্কিল কোর্সের (কুকিং) অংশ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ভয় যেন পরিণত হয় উৎসবের আমেজে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতায় সকাল থেকেই শুরু হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনের প্রস্তুতি। শিক্ষার্থীরা নিজেরাই কেটেছে পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন। একেকজন একেক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। রান্নার আয়োজনে ছিল সাদা ভাত, ডাল, পাঁচমিশালি সবজি ও দেশি মাছ রান্না। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল বারীক। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিলা পারভীন চলনবিল বার্তা কে বলেন, বিদ্যালয়ে এমন আয়োজনে অংশ নিয়ে বাস্তব শিক্ষা গ্রহণ করে খুবই ভালো লাগছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, এই বয়সে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে দায়িত্ব নিয়ে এতসব কাজ করছে, দেখে অনেক ভালো লেগেছে। দলীয় কাজ উপস্থাপন, টিম লিডার হিসেবে লিডারশিপ প্রদর্শন আমার কাছে মনে হয়েছে শিক্ষার্থীরা যেন রীতিমতো উৎসবে মেতেছে

গুরুদাসপুরে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন দ্ব›দ্ব-সংঘর্ষ

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি :আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের কোন্দল হামলা পাল্টা হামলায় পরিণত হয়েছে গুরুদাসপুর। ২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ায় এই হামলায় দুইপক্ষের অন্তত ৩০টি বাড়িতে ভাংচুর শেষে লুটপাট চালানো হয়েছে। আহত হয়েছেন ২২ জন। চারটি গ্রাম পুরুষশূণ্য হওয়ায় এসব এলাকায় নারীদের ওপর হামলা পাল্টা হামলা হয়েছে।
সর্বশেষ গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ছয়টার দিকে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ধারাবারিষা মেল্লাপাড়া গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিপন সরকারের সমর্থকরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের সমর্থক বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর ও লুটপাট করে। এঘটনায় বিল্লালসহ তার ছেলে ইমরান (৩৫), স্ত্রী সাবিহা (৫৫), মেয়ে নাজমা (১৮) আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ইমরানকে আশংকাজনক অবস্থায় নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে রিপন সরকার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, মতিন গ্রæপের সমর্থক বিল্লাল ও তার লোকজন সোমবার ভোর ৫টার দিকে হামলা চালিয়ে রহিম সরকার (৬০), ইসমাইল মোল্লা (৫৫), হবি সরকার (৫০), আমির সরকার (৫৫) ও শিল্টু সরকারকে (৪০) পিটিয়ে গুরুতর যখম করেছে। আহতদের মধ্যে আব্দুর রহিম, ইসমাইল ও হবিকেও আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD