কাজে আসছে না ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেন ব্যবস্থা

Spread the love
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জে রায়গঞ্জ পৌরসভার  উন্নয়নের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হলেও তা এখন বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পৌরসভার জন্য।   অপরিকল্পিত ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে পৌর শহর উন্নয়নে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাংলাদেশের ৩০ পৌরসভায় সেনিটেশন ও প্রানি সরবরাহ প্রকল্পের জনস্বাস্থ পোকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে রায়গঞ্জ পৌর শহর  ৩৪০০ মিটার আরসিসি ড্রেনের জন্য ১০ কোটি ৮০ লাখ টাকার বরাদ্ব হয়।প্রকল্পে  ১০টি ড্রেন নির্মাণ  করার কথা থাকলেও তার মধ্যে ৬ শত ২০ মিটারের দুইটি ড্রেন নির্মান করা হয়েছে। ড্রেন দুটি নির্মান করলেও কাজে আসছেনা পৌর বাসির। 
সরেজমিনে দেখা যায়,  রায়গঞ্জ পৌর সভার ২ নম্বর ওর্য়াডের  উপজেলা পশু হাসপাতাল থেকে থানার সামনে দিয়ে রায়গঞ্জ বাজার পযন্ত ৬২০ মিটারের ২টি আরসিসি ড্রেন তৈরি করে হাসান টেকনো এন্ড ইডেন প্রাইজ(জেবি) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পানি নিস্কাশনের জন্য  ড্রেন তৈরি করা হলেও রাস্তার পানি নিস্কাশন হচ্ছে  না। কারন রাস্তার চেয়ে ড্রেনের উচ্চতা দুই  থেকে তিন ফুট বেশী। একটু বৃষ্টি হলে দিনে পানি জমে মশা মাচির উপর উপদ্রব বেড়ে জনগণের দুর্ভোগ চরম উঠেছে। ড্রেন দুটি রাস্তা থেকে উঁচু হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে থাকে। পানি বের হওয়ার কোন জায়গা না থাকার কারণে ড্রেনের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেএলাকার লোকজন ও শিক্ষর্থীরা। 
 
পৌর এলাকার কয়েকজন  শিক্ষর্থী জানান,বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলের চলাচলের রাস্তায় কাদা পানি জমে থাকায় ড্রেনের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। পৌর এলাকায় স্থানিয় বাসিন্দা অমলকৃষ্ণ বিশ্বাস,  বলেন, অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ এবং রাস্তায় চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট ড্রেন উঁচু হওয়ায়।  অল্প বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে থাকে।  যাতায়াত দুর্ভোগ ছাড়াও রাস্তায় জমে থাকা পানি পচে দুর্গন্ধ ও মশা- মাছির উপদ্রব বাড়ছে। তারা আরো বলেন, এই ড্রেন নির্মাণ এর আগে রাস্তায় চলাচল করা যেত। এখন রাস্তায় আরো জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। 
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক বিদেশে থাকায় তার ম্যানেজার হারুন জানান, আমাদের হাতে কোনো ফান্ড না থাকার কারণে অপাতত কাজ বন্ধ আছে। রায়গঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সহকারি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন,দীর্ঘ দীন ধরে প্রকল্পের কাজ না করার কারণে টেন্ডার বাতিল হওয়ার পথে।  রায়গঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান  জানান,এ প্রকল্পে কাজ বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগ। কাজ শেষ হলে আমার কাছে  হস্তান্তর করবে তারা।এ কাজের বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।
Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD