সিরাজগঞ্জের সলঙ্গাসহ তিনটি উপজেলায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ

Spread the love

মোঃ ফারুক আহমেদ সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : 
আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুইমাস বর্ষাকাল। আষাঢ় শেষে শ্রাবনের আগমন ঘটলেও প্রকৃতি দেখে তা বোঝার উপায় নেই। বেশ কয়েকদিন হলো বৃষ্টি নেই। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের  সলঙ্গাসহ তিনটি উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষ। প্রচণ্ড খরায় মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন। এই গরমে কর্মমুখী মানুষ পড়েছে মহা বিপদে। তীব্র তাপদাহের মধ্যেই বাঁচার তাগিদে তাদের বেড়িয়ে পড়তে হচ্ছে মাঠে-ময়দানে কাজের সন্ধানে। তপ্ত রোধ ও ভ্যাপসা গরমে দুমোঠু খাবারের জন্য কর্মে নামতে হচ্ছে তাদের।
এই তীব্র গরমে স্বাভাবিক কাজ করতে পারছেন না পণ্য ডেলিভারি ম্যান, রিকশা-ভ্যানচালক থেকে শুরু করে দিন মজুররা। খোলা আকাশের নিচে তাদের কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। তীব্র তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম সহ্য না করতে পেরে ছোট ও বড়রা নামছেন পুকুরের পানিতে।
শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর তিনটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গরম সহ্য করতে না পেরে ছিন্নমূল মানুষকে ছায়াঢাকা গাছের নিচে খালি জায়গায় শুয়ে আছে। সুযোগ পেলেই একটু প্রশান্তির আশায় মানুষ ছুঁটছে গাছের ছায়া কিংবা শীতল কোনো স্থানে। গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা পুকুর কিংবা শ্যালো মেশিনের পানিতে দিন পার করছে।
রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গার আমশড়া গ্ৰামের ভ্যান চালক মফিজ উদ্দিন ও আরিফুল ইসলাম এই প্রতিনিধিকে জানান, এই রোদ ও গরমে ভ্যান চালাতে অনেক কষ্ট হয়। তাই মাঝে মাঝে ভ্যান নিয়ে গাছের ছায়ার নিচে বসে থাকি। গরমের কারণে শরিলে শক্তি পাইনা। সংসার চালাতে হবে তাই বসেও থাকতে পারি না।
সলঙ্গার থানার ধুবিল ইউনিয়নের মুরগি ব্যবসায়ী শিহাব উদ্দিন বলেন, গরমে আমার ০৯টি বয়লার মুরগি হিতিস্টকে ট্রোকে মারা গেয়েছে। উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা হাজি  সুপার মার্কেটের রেডিমেট কাপড় ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম  বলেন, গরমোত অবস্থা একবারে খারাপ। তার উপরোত বেচকেনাও কম। কেমনে যে মানুষ এই গরমোত বাড়ি থাকি বের হইবে?
তাড়াশ উপজেলার রানিদিঘি গ্রামের  ভ্যান চালক রিপন সরকার বলেন, আজকে যে রোদ পড়ছে সকাল থেকে ভ্যান চালাইয়া এখন আর কুলাইতেছে না শরীর। পেটের দায়ে ভ্যানে মালামাল টানি। দিন আইনা দিনে খাইতে হয়। কাম তো করাই লাগবে। অপরদিকে কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমে জ্বর, ঠাণ্ডা, পানিশূন্যতা ও ডায়রিয়াসহ গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, তাড়াশ উপজেলার সাস্থ্য উপকেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখা গেছে ছোট, বড় সব বয়সের মানুষদের মধ্যে কয়েক দিনে গরমজনিত নানা রোগে বিশেষ করে শিশুদের সংখ্যা বেশি।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD