চিকিৎসা সেবার মান বেড়েছে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

Spread the love

ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকারে বদলে গেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোসা: হালিমা খানমের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়েও রোগীরা এখন আন্তরিকতাপূর্ণ সেবা পাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সমন্বয় করে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নানা সংকট মোকাবেলার মাধ্যমে ভাঙ্গুড়ায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ, আন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সৌন্দর্যবর্ধন সার্বিক কার্যক্রম তদারকির মাধ্যমে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য খাতের ইতিহাসে এক অনন্য সুন্দর সফলতা বলে আখ্যা দিচ্ছে স্থানীয়রা। মোঃ মোমিন হোসেন নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দৃশ্যপট একেবারে পাল্টে দিয়েছেন বর্তমান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

তিনি এখানে যোগদানের পর থেকে হাসপাতালে রোগীদের খাবার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ফুল-ফলাদির বাগান সৃজনের মাধ্যমে পরিবেশের উন্নয়নসহ নানামুখী সৃজনশীল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাছাড়া অফিস সময়ের অতিরিক্ত সময়েও তাকে হাসপাতালে কর্মব্যস্ত সময় পার করতেও দেখা গেছে। বিনামূল্যে সিজার অপারেশন করা রোগী মনিরা খাতুন (২০) এর স্বজনরা জানান, বিনামূল্যে সিজার অপারেশন করতে পারায় আমরা খুব খুশি। কারণ আমাদের পক্ষে ১৫-২০ হাজার টাকা যোগাড় করা সম্ভব হতো না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, কীভাবে আরও সহজে প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায়- এ ব্যাপারে প্রতিনিয়ত সভা-সমাবেশের মাধ্যমে তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং পরামর্শ প্রদান করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। এখানের স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের কর্মকর্তার সৃজনশীল ভাবনা এবং উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আল-আমিন হোসেন জানান, ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য সকলের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম অপরিসীম ভূমিকা পালন করছেন। ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, করোনাকালে এখানে মোট ৩ হাজার ১৬০ জনের করোনার নমূনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তন্মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫১৩ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৮৫জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫১৩ জন এবং মারা গেছেন ০৪ জন। সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত করোনা টিকাদান কার্যক্রমের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় গণটিকা প্রদান কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে ১লাখ ২৩ হাজার ৯৩২ জনকে, দ্বিতীয় ডোজে করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে ১লাখ ১৪ হাজার ৬৪৬ জনকে, তৃতীয় ডোজে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার ৭১৯ জনকে চতুর্থ ডোজে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে ১৩শত ৪৪ জনকে।অপর দিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) ব্রাকের আর্থিক সহযোগিতায় কোভিট-১৯ এর ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে উপজেলা প্রায় ২শতাধিক প্রার্থমিক ও সমমান স্কুল শাখার (৫-১১) বছরের শিশুদের করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ কার্যক্রম সূষ্ঠভাবে সম্পর্ণ করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, সকল চিকিৎসক এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি সেবার মান বৃদ্ধিসহ হাসপাতালের উন্নয়ন এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে।তিনি আরও জানান ৭০,পাবনা-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ মকবুল হোসেন মহোদয় এর অনুপ্রেরণা,সহযোগিতা ও দিক-নির্দেশনায় এই পুরো কার্যক্রমটি হয়েছে আরও বেগবান। সার্বিক দিক-নির্দেশনায় নেপথ্যে ছিলেন সুযোগ্য সিভিল সার্জন ডাঃ মনিসর চৌধুরী। সার্বক্ষণিক ছায়ার মতো থেকে সহযোগিতা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ নাহিদ হাসান খান ও ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেল।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD