দীর্ঘ মেয়াদে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দাও ওদের

Spread the love

বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শুকুর মাহমুদ: বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিলো চোরেরাই, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন দেশ স্বাধীন করে মানুষ পায় স্বর্ণের খনি, আমি পেলাম চোরের খনি। সাড়ে সাত কোটি বাঙালি, আট কোটি কম্বল। আমার কম্বলটি কোথায় গেল? তাঁর এই বক্তেব্যের সুত্রধরেই চোরেরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিলো। আজ বাংলাদেশ যতই উন্নত হচ্ছে, চোর ও চুরির ধরনও ততই উন্নত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সময়ে আট কোটি কম্বলের মধ্যে চোরেরা চুরি করার পরও কিছু বিতরন করেছিলো। কিন্তু এবারে গবেষনার জন্য জাপান সরকার উন্নত জাতের ৩০০শ’টি মোড়গ দিয়েছে। যার সবটাই চুরি হয়েছে। চোরেরা আধুনিক হয়েছে, এবারে সবটুক চুরি করে খেয়েছে, তাই তাদের বিচারেও আধুনিকায়ন প্রয়োজন।

ওরা দেশের উন্নয়ন চায় না, দেশের জনগনের কল্যাণের বিরোধী, ওরা রাজাকারদের চেয়েও ভয়ংকর, সর্বগ্রাসী। মোড়গ চোরদের সাজা হবে ফাঁসি, তবে এবারের ফাঁসি হবে ব্যতিক্রম। গলায় নয়, ফাঁসির রশি পায়ে লাগিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া উচিৎ। প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ অপরাধে অপরাধীকে গলায় ফাঁসি দিয়ে প্রাণ দন্ড দেয়া হয়, কিন্তু এই আধুনিক যুগে আধুনিক চোরদের পায়ে ফাঁসি দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ঝুলিয়ে রাখার আহ্বান করা হচ্ছে।

স্বল্প আয়তনের দেশ বাংলাদেশ জনসংখ্যার ঘনত্বের কারনে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের জীববৈচিত্র ভড়াট হয়ে যাচ্ছে নদী-নালা, পুকুর- ডোবা, জলাশয় বসতি গড়ে উঠছে গো-চারণ ভুমিতেও।

কৃষি খামারে বসত বাড়ি হওয়া, ডোবা-নালা, খাল-বিল ভরাট করে বাড়ি ঘর ও স্থাপনা নির্মানে ফসলের ঘাটতি-খ্যদাভাব সৃষ্টি হচ্ছে। গো-চারন ভুমি বিনষ্ট হওয়ায় গো সম্পদের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়া উৎপাদন কমে যাচ্ছে। চরা মুল্যে কিনতে হচ্ছে গোস্তযাত পণ্য, নদী-নালা, ডোবা-খালবিল, জলাশয় ভরাট হওয়ায় বিলুপ্ত হচ্ছে দেশিয় জাতের মাছ। আমদানী করা হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল জাতের মাছ-মাংস।

দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি অর্থ থাকতেও পণ্যের অভাব বিশ্ব মানবতা বিপর্যয়ের বিবেচনা করে প্রতিবেশি দেশ জাপান সরকার এবারের কোরবানির ঈদের তার দেশে উচ্চ ফলনশীল মাংসযাত প্রাণী (হাইব্রীট) ৩০০টি মোড়গ উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশকে। প্রাপ্ত উপহার সামগ্রী গ্রহন করে সরকার হস্তান্তর করেছেন পল্ট্রি গবেষনা কেন্দ্র, সাভারে। সরকারের হস্তান্তরকৃত ৩০০টি মোড়গ’ই চুরি হয়ে গেলো, নিছিন্দ্র নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে অবস্থিত সিসি ক্যামেরায় সংরক্ষিত এলাকা, হাজারও কর্মচারি-কর্মকর্তা যেখানে অবস্থিত সেখান থেকে এতবড় চুরি হয়ে গেলো কর্তৃপক্ষের কাছে এর কোন জবাব নেই। সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

উল্লেখ করা যায় যে, কেউ আমাকে উচ্চ ফলনশীল ফলের গাছ উপহার দিলেন, গাছটি রোপন করে ফল পাওয়ার পরিবর্তে চারা গাছটি খেয়ে ফেলার মত হয়ে গেলো। এই আধুনিক চোরদের বিচার পূর্বের ন্যায় না করে আধুনিক নিয়মে গলায় ফাঁসি দেয়ার পরিবর্তে পায়ে ফাঁসি পরিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD