গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
ঈদুল আযহায় বিক্রির জন্য ৯০ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন গুরুদাসপুরের খামারিরা। উপজেলার অভ্যন্তরে কোরবানি পশুর ৪০ হাজার চাহিদা পুরণ করেও ৫০ হাজার পশু উদ্বৃত্ব থাকবে। উদ্বৃত্ব পশু ঢাকা, গাজীপুর, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা। বিগত তিন বছরে করোনাকালিন সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউনের মধ্যে উপজেলার ভিতরে এবং বাইরের জেলায় হাট বসিয়ে কোরবানির পশু বিক্রি করা যাবে কিনা এ আশংকায় গড়ে উঠেছে অনেকগুলো অনলাইন প্লাটফর্ম। এতেও উপকৃত হচ্ছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলায় ৯০ হাজার ৭১৪ টি কোরবানির পশুর মধ্যে ২০ হাজার ৬২৭ টি ষাঁড়, ২ হাজার ৭৪৭ টি বলদ, ৬ হাজার ৩৯৩ টি গাভী, ৮০৭ টি মহিষ, ৫১ হাজার ৬৮০ টি ছাগল, ৯ হাজার ৩৬১ টি ভেড়া ও ৯ টি দুম্বা পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।এসব পশুর বাজার মুল্য প্রায় ৫’শ কোটি টাকা। গত বছর ৩০ হাজার ৫০০ কোবানির পশু জবাই হয়েছে। এবারে ৪০ হাজার পশু কোবানি হবে বলে আশা করছে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস।
উপজেলায় ২৩ হাজার গেরস্থ খামারি রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কালাকান্দর এলাকায় আফতাব শেখ ও বাবলাতলা গ্রামের আবুল কালামের বানিজ্যিক খামারসহ মোট ৮১ টি খামার রয়েছে। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে রাজশাহী সিটি হাটসহ বিভিন্ন হাটবাজার এলাকা থেকে কোরবানিযোগ্য পশু কিনে মজুদ করছেন। এতে উপজেলায় কোরবানির পশুর সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে।উপজেলার চাঁচকৈড় এলাকার খামারি জুমির মন্ডল ও জামাত মোল্লা বলেন, উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের পরামর্শে ক্ষতিকারক স্টেরয়েড বা হরমন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার না করে পুষ্টিকর খাবার খৈল, গম, ভূষি, ছোলা ও সবুজ ঘাস খাইয়ে সহজেই গবাদি পশু মোটাতাজা করন করা হচ্ছে। ভারতীয় পশু আমদানী না হলে তারা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।