ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি রাস্তা পাশের বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ৮ থেকে ১০টি গাছ কেটে নিয়েছেন । এই প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষাকারী সরকারি সম্পত্তি যেন দেখার যে কেউ নেই। বুধবার(১০ মে) উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কৈডাঙ্গা ওয়াবদার বাধের উপরের নিম,কড়ই ও বড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ গুলি কেটে নিয়েছেন । কৈডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মৃত তোরাপ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ও তার প্রতিবেশী আবুল হোসেন মিলে সরকারি গাছ গুলি গোপনে বেতুয়ান গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী আদম আলীর নিকট বিক্রয় করায় এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য সরকারি সম্পত্তির গাছ কিভাবে একজন সাধারণ মানুষ বিক্রিয় করেন তা বোধগম্য নয়।জানা গেছে, ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের মৃত তোরাপ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম কৈডাঙ্গা এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৩ একর খাল লিজ নিয়ে মাছের চাষ করে আসছেন। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাওজন রেল লাইন টু বেতুয়ান রাস্তা । রাস্তার উভয় পাশে দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধনকারি নানান প্রজাতির গাছ মনোরম শোভা বর্ধন করছে। কিন্তু ওই খাল লিজ গ্রহণকারি শহিদুল ইসলাম ও আবুল হোসেন সরকারি সম্পত্তির ২৫/৩০ বছর বয়সী নিম, কড়ই,বড়ইসহ গোপনে গাছ গুলি মোটা অংকের টাকায় বিক্রয় করেছেন। আর ক্রয়সূত্রে বেতুয়ান গ্রামের গাছ ব্যবসায়ী আদম আলী রাতের দিবসের আলোতে গাছ গুলি কেটে নিয়েছেন। প্রকৃতির অন্যতম শোভাবর্ধনকারী সরকারি সম্পত্তির গাছ গুলো যেনো দেখার কেউ নেই। বুধবার বিকালে সরেজমিন ওই এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।ঘটনার বিষয়ে নাম না প্রকাশে একাধিক ব্যক্তি বলেন, সরকারি সম্পত্তি একজন ব্যক্তি কিভাবে বিক্রয় করতে পারেন ?
এ ব্যাপারে সরকারি গাছ বিক্রয়কারী শহিদুল ইসলাম বলেন, তার মাছ চাষ করার সমস্যা হচ্ছিল । তাই গাছ গুলি বিক্রয় করেছেন।সরকারি সম্পত্তির গাছ বিক্রয় করতে পারেন কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যা হবার তা হয়েছে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তার গাছ কাটার বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের । তাই তারা কোনো ব্যবস্থা নিলে তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে সরকারি গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, সরকারি রাস্তার গাছ কাটার সুযোগ নেই। গাছ কাটার বিষয়টি জেনে স্থানীয় বন কর্মকতাকে ঘটনা স্থলে পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনার ভাঙ্গুড়া পওর শাখা,ডেমরা পওর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশল মোঃ আল আমিন হোসাইন বলেন, সরকারি গাছ কাটা অন্যায়। বিষয়টি ব্যাপারে লোক পাঠিয়ে অফিসিয়ালী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।