চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি :
পাবনার চাটমোহরে চলনবিলের জলরাশির মাঝে অস্থায়ী অবৈধ সীসা তৈরির কারখানায় প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সীসা কারখানা বন্ধ করে একটি জেনারেটর এবং হাওয়া মেশিন ও জব্দ করা হয়। তবে কারখানার মালিক পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পাবনার চাটমোহর-হান্ডিয়াল সড়কের পাশে অবস্থিত নিমাইচড়া গ্রামের পশ্চিম পাশের বিলের মধ্য দিয়ে কাটা গাঙের পাড়ে গড়ে উঠেছিল এ অস্থায়ী অবৈধ সীসা তৈরির কারখানাটি। চারপাশে বিল জন মানুষের যাতায়াত নেই। নদীর পারের অধিকাংশ স্থান ডুবে গেছে বর্ষার পানিতে। চাটমোহর-হান্ডিয়াল সড়কের পশ্চিমের এমন একটি নির্জন উঁচু স্থানে সীসা তৈরীর এ কারখানাটি গড়ে তুলেছিলেন পাবনার বেড়া থানার মরিচা পাড়া গ্রামের আব্দুর রশীদ নামক জনৈক ব্যক্তি।সীসা পোড়ানোর কয়লা বেড়া উপজেলার সোনাপদ্মা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম, নেওলাই পাড়া গ্রামের হাসর আলী, নতুন ভারেঙ্গা এলাকার রাজ্জাক আলী শেখ এবং একই এলাকার শওকত আলী এ চারজন সীসা তৈরীর কাজ করতেন।এলাকাবাসী জানান, দেড় মাস যাবত এখানে রাতে রাতে সীসা তৈরী করা হয়। সীসার ক্ষতিকর ধোয়া ও বিষক্রিয়ায় এ এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। শ্রমিকেরা জানান, চায়না কোম্পানীর সীসার পাউডার ময়লা কিনে এনে এখানে তা পুড়িয়ে সীসার বার তৈরী করা হয়। আব্দুর রশীদ এবং তার ছেলে আরিফ এ ব্যবসা পরিচালনা করেন।
এ ব্যাপারে আব্দুর রশীদ জানান, এটি অবৈধ ব্যবসা তা আমার জানা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বা এ ব্যবসা সংক্রান্ত কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি তিনি। কাটা গাঙের পাড়ে অবৈধ সীসা কারখানা গড়ে উঠেছে এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন তাকে সহযোগিতা করেন। ইউএনও সৈকত ইসলাম জানান, অস্থায়ী সীসা কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে একটি জেনারেটর ও একটি হাওয়া মেশিন জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্রবস্থা গ্রহণ করা হবে।