চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরের প্রতিটি মাঠে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। বর্তমানে এ এলাকার কৃষকদের মূল ব্যস্ততা আমন নিয়েই। পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষের পর চারা রোপণে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও দেখা যাচ্ছে। আবার জমির আগাছা অপসারণ, বীজতলা থেকে চারা তোলার কাজে নারীদের বেশি দেখা যায়।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,চলতি বছর রোপা আমন চাষে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এবার রোপা আমন ধানের চারার কোন সংকট নেই। হাট-বাজারে প্রচুর চারা বিক্রি হচ্ছে। কৃষক চাহিদা মতো চারা কিনছেন। তাছাড়া কৃষক নিজেও বীজতলা তৈরি করে চারা উৎপাতন করেছে।
চাটমোহরের মূলগ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও জমি প্রস্তুত করে রোপা আমন রোপণ করা হচ্ছে। বিঘায় খরচ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর ধান পাওয়া যায় ১৫ থেকে ১৬ মণ। ১ থেকে দেড় মাস হলো বন্যার পানি না থাকায় এবারে কৃষক প্রচুর রোপা আমন লাগিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ৪ থেকে ৫ দিন হলো বন্যার পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে রোপা আমন পানিতে তলিয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক।নিমাইচড়া গ্রামের আ.কাদের বলেন,এবার বৃষ্টি ও বন্যা না হওয়ায় বোনা আমনের খেত নষ্ট হয়ে গেছে। বোনা আমন কেটে ঘাস হিসেবে গরুকে খাওয়ানো হয়েছে। উঁচু জমিতে বোনা আমন আবাদ মার খাওয়ায় সেখানে রোপা আমন ধানের চাষ করা হচ্ছে। মাঠে এখন ধান লাগানোর কাজ চলছে।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ এ মাসুমবিল্লাহ বলেন, এ উপজেলায় রোপা আমন লাগানো চলছে পুরোদমে। সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত রোপা আমান ধানের চারা রোপন চলবে। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ জমিতে কৃষক ধান লাগিয়েছে। এবারে লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে যাবে। তবে গত কয়দিন বন্যার পানি ব্যাপকহারে বাড়ছে। এতে কৃষকেরা অনেকটাই হতাশায় পড়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি দেখে সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকেও অনেকে ধান লাগাবেন। তিনি জানান,পানির অভাবে বোনা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। কিছু উচুঁ জমিতে রোপা আমনের আবাদ হবে। চারা সংকট না থাকায় কৃষক স্বচ্ছন্দে রয়েছে।