তাড়াশ প্রতিনিধি : সিরাগঞ্জের তাড়াশের বারুহাঁস গ্রামের শরীফ নামের এক ব্যক্তির ও তার চার সহযোগির বিরুদ্ধে এক রতœগর্ভা মা ও শ্রেষ্ঠ জয়িতার বাড়ির সামনের দোকান ঘর ভাংচুর ও ফলদ গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আর এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বারুহাঁস গ্রামের রতœগর্ভা মা জিন্নাতুন নেহার খাঁন চৌধুরী শরীফ সহ চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাড়াশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ দিকে আভিযোগ পাওয়ার পর তাড়াশ থানার এস আই আব্দুল মাজেদ শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশের বারুহাঁস গ্রামের বাসিন্দা, নরসিংদীর বাংলাদেশ জুট মিলের অবসর প্রাপ্ত ডিজিএমসি আবু রেজা খাঁন চৌধুরী ও জিন্নাতুন নেহার খাঁন চৌধুরী দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছেন। তাদের মধ্যে এক মেয়ে সরকারী হাসপাতালের এমবিবিএস চিকিৎসক, এক ছেলে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অপর আরেক মেয়ে একটি ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটি কন্ট্রোলার কর্মকর্তা পদে কর্মরত। আর এ জন্য তাদের মা জিন্নাতুন নেহার খাঁন চৌধুরী তাড়াশ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক একজন স্বীকৃতি প্রাপ্ত রতœগর্ভা মা ও শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর তার তিন ছেলে মেয়ে বিভিন্ন শহরে কর্মরত থাকায় জিন্নাতুন নেহার খাঁন চৌধুরী অসুস্থ্য স্বামীসহ বারুহাঁস গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন।
আর এই সুযোগে একই গ্রামের শরীফ ও তার লোকজন বৃহস্পতিবার দুপুরে জিন্নাতুন নেহার খাঁন চৌধুরীর নিজ নামের ও ছেলে এমরান খাঁন চৌধুরীর নামে নামজারি করা বারুহাঁস বাজার সংলগ্ন সাড়ে ১৪ শতক জাযগার উপর থাকা টিনশেড দোকান ঘর ভাংচুর করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া সেখানে লাগানো উঠতি আম,কলা,কাঠাল, লিচুসহ ফলদ গাছ কেটে ফেলেন। এ সময় জিন্নাতুন নেহার খাঁন চৌধুরী এতে বাধাঁ দিলে শরীফ ও তার লোকজন তাকে হাত পা ভেঙ্গে দেবার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন রতœগর্ভা মা জিন্নাতুন নেহার খাঁন চৌধুরী ।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে মেয়েরা বাহিরে চাকুরি করার সুবাদে তারা বাড়িতে না থাকায় শরীফ ও তার কতিপয় আত্মীয় স্বজনরা আমাকে প্রতিনিয়ত অত্যাচারে অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। এমন কি তারা আমার জায়গা জমিসহ সহায় সম্পদ গ্রাস করার চেষ্টা করছেন।
অবশ্য অভিযুক্ত শরীফ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, জায়গা জমি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাইনা।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি ফজলে আশিক বলেন, তাদের দুই পক্ষকে জায়গা জমির বিষয় নিয়ে সিভিল আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আর দোকান ঘর ভাংচুর ও গাছ কাটার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।