মোঃ মুন্না হুসাইন ;
বর্ষার আগাম পানীতে তাড়াশের জেলেরা বাঁশের ধুনদি, কারেন জাল ও বাদাই নিয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে তাড়াশে জেলেদের।পঞ্জিকার পাতা অনুসারে তপ্ত গ্রীষ্মের কাল ফুরিয়ে আসছে। জ্যৈষ্ঠের শেষভাগে এখন প্রায় প্রতিদিনই ঝুম বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া জানান দিচ্ছে বর্ষা ঋতুর আগাম বার্তা। বর্ষার নতুন পানিতে মাছ ধরা পড়ে বেশ। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে মৎস্যজীবীদের তৎপরতা। তাই বর্ষার আগাম পানীতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাছ ধরার উপকরন নিয়ে জেলেদের ব্যস্ততা বেড়েছে।দুই জেলার সিরাজগঞ্জ ও নাটর নদীর পাড় এবং চরগুলোতে বসবাসরত অনেক মানুষ বর্ষায় মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে এসব জাল ব্যবহার করেন। তাই ব্যাপক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক জেলেরা বর্ষা ঋতুকে সামনে রেখে আগে-ভাগেই নেমে পড়েছেন মাছ ধরার উপকরন জেলেরা।এমন একজন ব্যক্তি হচ্ছেন তাড়াশ উপজেলার দুলাল হোসেন (৪৮)। বর্ষাকাল সামনে রেখে এক মাস আগ থেকেই তিনি নানা আকারের মাছ ধরার উপকরন কৌশল অবলম্বন করেন।দুলাল আলী জানান, এলাকার হাট-বাজার গুলোতে আমি বর্ষার পানির মাছ বিক্রায় করে আমি আমার সংসার নিরবাহ করে থাকি। তিনি বলেন, বর্ষার পানিতে মাছ ধরে তিনি প্রতিদিন গড়ে ৩০০টাকা থেকে৪০০ বিক্রি করেন ভরা মৌসুমে বিক্রি আরও বাড়বে।’আবার দেখা যায়, সারা বছর অন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও বর্ষা মৌসুমে অনেক জেলেরা মাছ বিক্রির কাজে যুক্ত হন অনেকে। যেমন মহেশরৌহালীর মদন,শাজাহান,রহমত,ও আরো অনেকে।এখন চাছকৈর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ধুনদি,কারেন জাল,বাদাই জাল ইত্যাদি উপকরণ এই উপকরণ গুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা।
আমজাদ মিয়া বলেন, ‘নদী পাড়ের মানুষের কাছে এসব উপকরনের ভালো চাহিদা আছে। তাই বর্ষা আসার আগে-পরের পুরোটা সময় এসব উপকরন তৈরির কাজই করি।
তাড়াশ উপজেলায় এলাকায় নয় নম্বর ব্রিজ ও দশ নম্বর ব্রিজের পানি আগমন ঘটেছে দুলাল হোসেন (৪৮) মাছ ধরার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এর মধ্যেই মাছ ধরার সমস্ত উপকরন কিনে ফেলেছেন।মহেশরৌহালী গ্রামের আরেক জেলে নুরইসলাম (৫৫) বলেন, ‘একটা ধুনদি কারেন জাল এক মৌসুমের বেশি ব্যবহার করা যায় না। তাই প্রতি বছরই নতুন করে কিনতে হয়। তাই তাড়াশের চলন বিলে পানির আসার সাথে সাথে যেন সমস্ত জেলেদের মুখে হাঁসি ফোটে।