এম ডি হাফিজুর রহমানঃ ছোট বেলা থেকে গানের ভক্ত গান পাগলা হালিম বয়াতি। ছোট থেকেই ছুটেছেন গানের পিছে। তালিম নিয়েছেন গুণী শিল্পীদের কাছ থেকে। পাবনা সদরের বয়াতি পরিবারের মেজ ছেলে হালিম। তার পিতা মোহাম্মদ আলী বয়াতি। নিজ গ্রাম চর রাধাকান্ত পুরে তার শৈশব কৈশোর পার করেন তিনি।
হালিম মহিম চন্দ্র জুবীলি উচ্চবিদ্যাল থেকে এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেন। তার পরে সংগীত বিষয়ে পাবনা শহীদ সাধন মহাবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পরিবারের অবস্থা ভালো না হওয়ায় আর বেশি লেখা পড়ার সুযোগ হয়নি তার। পরে বাবার হাত ধরে গান শিখে বিভিন্ন প্রোগ্রামে গান ও বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পরিবারের হাল ধরেন এই গুণী শিল্পী। তিনি এ প্রতিবেদক কে তার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের কথা জানিয়ে বলেন, আগে আমাদের পরিবারের অবস্থা ভালো ছিলনা। এমনো হয়েছে পুরুস্কার নিয়ে গিয়ে বাড়িতে গেছি কিন্তু ভাত না খেয়েই উপস রাত পার করতে হয়েছে।
গুনি এই শিল্পী ওস্তাদ আবুল কালম আজাদ, শিবু দাস, গুলজার হোসেন, সংকর বিশ্বাস, ফুলে রেনু দাস সহ অনেকের কাছেই গানের তালিম নিয়েছেন। হালিম ২০১৫-১৬ তে ইউনেস্কো পার্টিসিপেশন মরমি শিল্পী আব্দুল আলীম এর গান গেয়ে সেরা ১০ হয়ে ৬ নাম্বারে ছিলেন। এছাড়াও ভিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে ১ম স্থান অর্জন করে ২০টি পুরস্কার পেহেছেন।
বর্তমানে করোনা মহামারীতে শিল্লী সামাজের করুন পরিস্থিতির কথা জানিয়ে হালিম বয়াতি বলেন, করোনার কারনে শিল্পী সমাজ কর্মহীন হয়ে পরেছে। কোথাও কোনো অনুষ্ঠান নেই। যার কারনে আমাদের ইনকাম নেই। অনেক শিল্পী আজ দিন মজুরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কাজ নাই বলে তো আর না খেয়ে মরতে পারেনা। তাই বাধ্য হয়েই অনেক শিল্লী আজ অন্য পেশায় যোগ দিচ্ছেন। সরকার তো অনেককেই ত্রাণ দিয়েছে কিন্তু আমাদের শিল্পী সমাজের কেউ কোনো কিছু পেয়েছে কিনা তা আমার জানা নাই।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সমসাময়িক প্রেক্ষাপট নিয়ে গান লিখে এবং তাতে সুর করে আমার “এইচ বি স্টুডিও” তে কম্পোজ করে তাতে নিজেই মডেলিং ও ভিডিও সম্পাদনা করার পর আমার “হালিম বয়াতি অফিসিয়াল” ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করি। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে আমার প্রথম গান করা হয় বেদে কন্যা তারিফা নিয়ে। সে সময় গানটি ব্যাপক ভাইরাল হয়। তার পরে মিন্নির ঘটনা নিয়ে গান করলে সেটাও ভাইরাল হয়। প্রায় এক কোটি ভিউ হয় এক সপ্তাহে। তার পর থেকে নুসরাত, মুনিয়া, তামিমা তাম্মি, পাপিয়া সহ একের পরে এক গান করতেছি।
হালিম বয়াতি ইতোমধ্যে পরীমণি ইস্যুতে তিনটি গান তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করেছে। গান গুলো দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন ছোট বেলা থেকেই গান ভালোবাসি। আর এই ভালোবাসা থেকেই এখনো গান করি। আমি আমার দর্শক বন্ধুদের আগামীতেও গান শুনিয়ে যাবো।