বিশেষ প্রতিনিধি:ইফতার সমাগত। এমন সময় উচ্চ শব্দে বেপরোয়া মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ছাত্রদল কর্মী মো. আলভী। কিন্তু তাকে লোকালয়ে ওভাবে মোটরসাইকেল চালাতে নিষেধ করেন ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভ হোসেন। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে বেধরক মারপিট করে আহত করা হয়। একই সাথে একজন প্রবীণ সাংবাদিককেও লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। সিরাজগেঞ্জর তাড়াশে পৌর শহরের কালী মন্দির এলাকায় শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমেদ আকাশ বুকে ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে এনায়েতপুর খাজা ইউনুছ আলী মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও সৌরভ, রাসেল, সাগর, সালমান, আকাশ ও শুভ নামে আরো ছয় জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন।
এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে তাড়াশ বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী আলভী ও পলাশসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ওসি ফজলে আশিক। এদিকে রবিবার দুপুরে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে আহত করার প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে তাড়াশ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ঘটনার সূত্রপাত তুচ্ছ। কিন্তু দলীয় আক্রোশ থেকে ছাত্রদল কর্মী আলভী, পলাশ, ফকরুল ও টনি গংরা সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে আহত করেন। বক্তারা আরো বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সাগরের পিতা ও প্রবীণ সাংবাদিক এম মামুন হুসাইন ছাত্রদল কর্মীদের মারধর থেকে নিজ সন্তানকে বাঁচাতে গেলে তাকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়।মানবববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইকবাল হাসান রুবেল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম কবীর, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমূখ।