জেল হত্যা দিবস জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য ঘৃন্য হত্যা কান্ড

Spread the love

এ্যাড. মোঃ আব্দুল ওহাব (বীর মুক্তিযোদ্ধা)
আমাদের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মুজিব নগর সরকারের জাতীয় বীরদের কথা বলছি। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে কে জাতীয় নেতা অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহম্মেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন তাঁদের কথা লিখছি।
১৯৭৫সালের ৩রা নভেম¦র জেল হত্যা দিবস। বছর ঘুড়ে এলেই মনে পরে বঙ্গবন্ধুর কথা ও জাতীয় চার নেতার কথা। ১৯৭৫ সালে জাতীর জনককে স্বপরিবারে হত্যা করে বিপদগামী সৈনিকরা। আবার কারাগারে বন্দি জাতীয় ৪ নেতাকে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে বিপদগামী লোভী সৈনিকরা। এই জাতীয় চার নেতা বার বার পরীক্ষা দিয়েছে প্রমান করেছে বঙ্গবন্ধুর বিশিষ্ট বিশ্বাস ভাজন নেতা বঙ্গবন্ধুর সাথে ১৯৭১ সালেও বিশ্বাসঘাতকতাকরে নাই। আবার ১৯৭৫ সালে অগ্নি পরীক্ষার সময় বিশ্বাস ঘাতকতা করে নাই। এক মুহূর্তের জন্য মাথা নত করে নাই। বিশ্বাস ঘাতক খঃ মোস্তাক আহম্মেদের কু-পরামর্শে জাতির নেতা ও মেধাশূন্য করার জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্দয়ভাবে হত্যা করেছিল জাতীয় চার নেতাকে। দীর্ঘ ৪২ বছরেও বাঙ্গালী জাতী তাদের ভুলে নাই। কিন্তু দাউদ কান্দির খঃ মোস্তাক আহম্মেদ আজ ভুলে গেছে। ঘৃণা ভরে মনে করে।
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা আমার পরিস্কার মনে পরে সেই সৎ ত্যাগী সাহসী রাজনীতিবীদ মুজিব নগরের সরকারের প্রধান তাজউদ্দিন আহম্মদের কথা। তিনি ভারতের প্রধান মুন্ত্রি ইন্দ্রিরা গান্ধীর সাথে কথা বলে মুজিবনগর সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাদের মধ্যে যেমন ঐক্য গড়েছে সম্মাননা দলের নেতাদের সংঘঠিত করেছেন। আবার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে জাতীয় চার নেতা দায়িত্ব পালনে কোন অবহেলা করে নাই।
কারাগার সভ্য সমাজে নিরাপদ স্থান। সরকারীভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। সেই কারাগারে জাতীয় চার নেতাদের হত্যা করা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার ৭৯ দিন পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে খ্যান্ত হয় নাই স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। ঘাতকদের বিদেশে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। তারপর পাশ হয়েছে ইমডেমনিটি এ্যাক্ট বা বিচার করা বাধাগ্রস্থ আইন। হত্যার বিচার করার পথ বন্ধ করেছিল। তার পর জাতির জীবনে অনেক ঘটনা ঘটেছে। জাতী আবার চলার পথ পেয়েছে। আল্লাহ তোমার লীলা খেলা কেউ বুঝে কেউ বুঝে না আল্লাহ তোমার দয়ার গুণে প্রাণে বাঁচে শেখ হাসিনা। তোমারই দয়ার গুণে প্রধানমন্ত্রী হয়শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসাবে হাল ধরেন। তিনি দলকে সুসংঘঠিত করে নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি জাতীয় সংসদে ঐ ইনডেমনিটি এ্যাক্ট বাতিল করে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচারের পথ সুগম করেন। স্বঘোষিত খুনি ফার¤œক, শাহরিয়ার, বজলুল হুদা সহ খুনিদের বিচার করে ফাঁসি কার্যকরি করেছেন। অপরদিকে বিলম্ব হলেও জেল হত্যার বিচারের রায় ঘোষিত হয়েছে বাংলার মাটিতে। খুনিরা যে রক্তাক্ত হত্যার যজ্ঞ করেছিলতাদের বিচার হওয়ায় জাতীয় নেতাদের আত্মা শান্তি পেয়েছে ইনশাআল্লাহ। বাঙ্গালী জাতি কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে জাতীর নের্তৃত্ব মেধাশূন্য করেছিল। সময়ের আবর্ত্তে সেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে মেধা ও যোগ্য নের্তৃত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ চলার পথ পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ও জাতীয় চার নেতা আছে বাঙ্গালীর হৃদয়ে, কৃষকের মাঝে, ফসলের মাঠে।

লেখক:
এ্যাড. মোঃ আব্দুল ওহাব (বীরমুক্তিযোদ্ধা)
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাটোর জেলা কৃষকলীগ
ও লেখক “ ছোটদের চেতনায় বঙ্গবন্ধু”

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD