গোলাম মোস্তফা : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের একটি রাস্তার ওপর পিলার পুঁতে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের নাম আব্দুল খালেক পিয়াস। তিনি পৌর শহরের খাদ্য গুদাম মোড় এলাকার গাজী আরশেদূল ইসলামের ছেলে ও উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি। এদিকে তাড়াশ সদর হাসপাতালে যাতায়াতের বিকল্প এ পার্শ্ব রাস্তাটি প্রায় বন্ধ করে দেওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহন চালক ও পথচারী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার ঠিক মাঝখানে দুইটি পিলার। পিলারের একপাশ দিয়ে সাইকেল বা মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারলেও আরেকপাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়।স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম রাব্বানী সূর্য জানান, ৫০০ ফিটের মতো ছোট ওই রাস্তাটি নির্মাণ করার সময় স্থায়িত্বের বিষয়টি ভেবে ঠিকাদারি প্রতিষ্টান রাস্তার মাঝে একটি পিলার পুঁতে দেয়। তাতে হালকা যানবাহন চলাচলে বাধা ছিলো না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন মেরামত না করায় একটু পরপর ছোটবড় অনেক গর্ত হয়ে গেছে। পার্শ্ব রাস্তাটিও প্রভাবশালী ব্যক্তি বন্ধ করে দিয়েছেন। নিরুপায় হয়ে তারা এক কিলোমিটার ঘুরে দক্ষিণ তাড়াশের বাইপাস সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন।
অভিযুক্ত আব্দুল খালেক পিয়াস বলেন, পৌর শহরের প্রধান বাইপাস সড়কটি খানাখান্দে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে চালকরা ভারি যানবাহন নিয়ে বিকল্প পার্শ্ব রাস্তাটিতে ঢুকে পড়েন। রাস্তাটির দুইপাশে পুকুর। মাঝে মাত্র ২/৩টি বসতবাড়ি। সেই রাস্তায় ভারি যানবাহন চলাচল করলে অল্প সময়ে পুকুরে ধসে বিলীন হয়ে যাবে। বরং রাস্তাটির সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই পূর্বের পিলারটির পাশে আরেকটি পিলার পুঁতে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল মিয়া বলেন, সরকারি রাস্তায় পিলার পুঁতে দেওয়ার নিয়ম নাই। শিগগিরই পিলার দুইটি অপসরণ করে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করা হবে।