তাড়াশে মাদ্রাসায় নিয়োগ নিয়ে নয়ছয়- কোর্টে মামলা দায়ের

Spread the love

লুৎফর রহমান: তাড়াশের গোন্তা আলীম মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে আবেদনকারী মো: আরমান সরকার। সে উপজেলার গোন্তা গ্রামের মৃত আনোয়ার সরকারের ছেলে ।

গত ১৬ আগস্ট সিরাজগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সভাপতিসহ মোট ১১ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তোভোগী। মামলা নং ২১/২০। মাদ্রাসার অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ সেশনে জন্য নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী এবং ২০২০-২১ সেশনে জন্য উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগের জন্য জাতীয় দৈনিক গণকণ্ঠ ও সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক কলম সৈনিক পত্রিকায় গত ৪ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে ১৫ দিন পর নিরাপত্তা কর্মী পদে ৫ জন, আয়া পদে ৪ জন, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে ১৫ জন, উপাধ্যক্ষ পদে ১ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে ১ জন আবেদন কর্।ে এবং গ্রন্থাগারিক পদে কেউ আবেদন করে নাই।

মামলার নথি সূত্রে জানা, ১৩ মে ২০১৩ তারিখে নি¤œ সহকারী কাম কম্পিউটার পদে গোন্তা গ্রামের মৃত পান্নাউল্লা মিয়ার ছেলে আব্দুল মালেক কে যোগদান করান অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান। কিন্তু বেতন না হওয়ায় দীর্ঘ ৭ বছর পর আবার নতুন করে ওই পদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে অনেকেই আবেদন করলেও ওই পদে কোন পরীক্ষা ছাড়াই গত ২ আগস্ট ২০২০ তারিখে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে দ্বিতীয়বার নিয়োগ দেওয়া হয় আব্দুল মালেক কে। এ কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা। স্থানীয় জানান , মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান নিজের স্বার্থ চরিতার্থে করার জন্য মেয়ে জামাতা আলমাছ মাহমুদ কে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে আবেদন করান। আলমাছ আলিম পাস করার পর আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখা পড়া করেনি। দীর্ঘ দিন সে ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান বলেন, ২০১৩ সালের পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিল না হওয়ায় নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আর নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: আবুল বাসার বলেন, নিয়োগটি আপাতত বন্ধ আছে। অধ্যক্ষ বলে একটা করে আরেকটা। আমি আর এ বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD