জাকির আকন : তাড়াশ উপজেলা পৌর ও সদর ইউনিয়নে অপরিকল্পিত পুকুর খনন আর রাস্তার পাশের খাল ভরাটের কারণে জলাবদ্ধতায় হাজার হাজার বিঘা জমির আমন ধান চাষ বন্ধ হয়ে গেছে। সরজমিনে ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ পৌরসভার দক্ষিন মাঠ সদর ইউনিয়নের মাধবপুর, মথুরাপুর, বোয়ালিয়া, ও উল্লাপাড়া উপজেলার সরাপপুর গ্রামের মাঠে ধানি জমিতে গত কয়েক বছর ধরে অপরিকল্পিতভাবে শতশত পুকুর খনন আর গ্রামের আঞ্চলিক রাস্তার পাশের খাল ভরাট করা হয়েছে। মাঠের ভিতরে যত্রতত্র পুকুর খনন আর খাল ভরাটে বন্যার পানি বের হতে না হতে পেরে গ্রামের মাঠ গুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে । মাঠের পানি না নামায় এ বছর গ্রামের মাঠে কৃষকরা আমন চাষ করেত পারে নি । তাড়াশ উপজেলা সদরের কৃষক কাজী আব্দুল জলিল , কৃষকখোন্দকার হাজী ময়েন উদ্দিন জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষি অফিসার এর নিকট আমরা ৫০ জনের অধিক কৃষক অভিযোগ করেছি । খাল ভরাট কারীদের লোকজনের হাতে হামলার শিকার হয়েছি তার পরে খাল ভরাট আর পুকুর বন্ধ হয়নি । তারা আরো জানান এ বছর বোরো ধান কাটার পরে মাঠ থেকে পানি বের হতে না জলাবদ্ধতায় প্রায় ২ হাজার বিঘার আমন ধান চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে ।
বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী ও মাধবপুর গ্রামের এসমএম,ই কৃষক মনসুর রহমান জানান,আমাদের গ্রামসহ এই এলাকার ৫টি গ্রামের মাঠে পনি প্রবাহের খাল গুলো ভরাট করায় মাঠে জলাবদ্ধতায় ৩ বছর ধরে আমনের আবাদ করতে পারছি না । তারা আরো জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একাধিক বার অভিযোগ দিয়ে ও কাজ হয়নি । বোয়ালিয়া ইউ,পি সদস্য সোলায়মান আলী আমরা জলাবদ্ধতার জন্য খাল গুলো আমাদের কৃষকদের উদ্যোগে কয়েক বার কেটে দেওয়া হয়েছে কিন্তু খাল ভরাট বন্ধ হচ্ছে না । তাড়াশউপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ন কবীর জানান প্রতি বছরই জলাবদ্ধতার কারণে আমন ধান চাষ কমে আসছে এ বছরের আমার ওয়ার্ডেই প্রায় দেড় হাজার বিঘার জমির আমন চাষ বন্ধ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লতা কৃষকদের কাছ জলাবদ্ধতার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদেও জানান, মাঠে পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সহযোগীতায় জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।