স্টাফ রিপোর্টার: উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের একটিতেই সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৬ জন প্রার্থী একই আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন কিনেছেন।
মনোনয়ন কেনার এমন হিড়িক পড়ার দৃশ্য সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ-সলঙ্গা) আসনের। বর্তমান সংসদ সদস্যের সাথে স্থানীয় নেতাদের দলীয় কোন্দল থাকায় এ আসনে প্রার্থীর সংখ্যা অন্যান্য আসনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী। নির্বাচনকে ঘিরে হাতে গোনা কয়েকজনকে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তৃণমূলে তুলে ধরে গণসংযোগ করতে দেখা গেলেও দলীয় মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই বেড়েছে প্রার্থীর সংখ্যাও। ধানমন্ডিতে আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ের পাশে নতুন নির্বাচনী অফিস থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন প্রার্থীরা। এসময় তাদের সঙ্গে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তাড়াশ-রায়গঞ্জ আসনে দলীয় মনোনয়ন পত্র কেনা ১৬ জন প্রার্থী হলেনÑভূমিমন্ত্রনালয়’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শিল্পপতি লুৎফর রহমান দিলু, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুইট, স্বাচিপ নেতা ডাঃ আব্দুল আজিজ, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য ইসহাক তালুকদারের ছেলে এ্যাড. ইমরুল হোসেন ইমন তালুকদার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা সম্প্রীতি মঞ্চের যুব ও ক্রীড় বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (হৃদয়), রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাদি আল মাজি জিন্নাহ্, সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার রায়, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হালিম খান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য গোলাম হোসেন সুমন,ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব সুজন,তাড়াশ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি,বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন মুক্তা এবং শাহআলম চৌধুরী।
