তাড়াশ পৌরসভার রাস্তাগুলো বেহাল

Spread the love

গোলাম মোস্তফা : তাড়াশে পৌর সদরের জিকেএস এলাকা থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তা খানখন্দে বেহাল দশা। অনুরুপ অবস্থা পৌরসভার আওতাভুক্ত আসানবাড়ি রাস্তা, ভাদাস রাস্তা, কহিত রাস্তা ও খুটিগাছা রাস্তার। বিশেষ করে পৌর সদরের দেড় কিলোমিটার বেহাল রাস্তার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তাগুলো জুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে । কোথাও কোথাও বার-পনের ফিট লম্বা গর্তের গভীরতা হাঁটু সমান। সামান্য বৃষ্টিতে দিনের পর দিন পানি জমে থাকছে। আর পানি শুকালে কাঁদার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। দেখে বোঝার উপায় নেই পাকা সড়ক। রাস্তাগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল দুরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
পৌরসভার বাসিন্দা, তপন গোস্বামী, আইয়ূবুর রহমান রাজন, লুৎফুল কবির লিমন, শাহআলম ফকির, হাফিজুর রহমান, রাশেদ খান, মজনু পারভেজসহ অনেকে জানান, জিকেএস এলাকা থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোড় পর্যন্ত রাস্তার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাস্তাটির সঙ্গে সিরাজগঞ্জ রোড, ভূয়াগাঁতী রোড ও মহিষলুটি রোড হয়ে অভ্যন্তরিন সংযোগ থাকার কারণে দিন রাত বহু যান্ত্রিকযানবাহন চলাচল করে। রাস্তাটির বেহাল দশায় মালামাল বোঝাই ভারি যানবাহন সদরে প্রবেশ করতে পারছে না। দূরে কোথাও রেখে লোড আনলোডের কাজ করতে হয়। এভাবে ব্যবসায়ীদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। যার মাশুল দিতে হচ্ছে ক্রেতা সাধারণকে।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, পৌরসভার রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় সবচেয়ে মুশকিলে পড়েছেন বিভিন্ন বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা। আর নাভিশ্বাস উঠেছে বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থদের। খানাখন্দে ভরা কাঁদা-পানির রাস্তা দিয়ে না যায় পায়ে হাঁটা, না চলে গাড়ি। মাঝে মধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা। তারপরও বাধ্য হয়ে এসব রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন কয়েক হাজার মানুষ। এ প্রসঙ্গে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ডা. আহাদ উল্লাহ চলনবিল বার্তাকে জানান, প্রকল্প অনুমোদন হয়ে গেছে। এস্টিমেট তৈরি করে রাজশাহী অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বরাবর পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। সেখান থেকে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে রাস্তাগুলোর কাজ করা হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD