গুরুদাসপুর প্রতিনিধিঃ নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের এমপি আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে দলের তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষোভ আর উত্তেজনা এখন প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে। ভোটের আর মাত্র তিনমাস বাকী থাকলেও দলের নেতাকর্মিদের কোন্দল মিটিয়ে একাট্টা হতে পারেন নি এমপি আব্দুল কুদ্দুস। জোটের এমন নেতৃত্ব সংকট অবস্থায় দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত নাটোর-৪ আসনটিতে ১৪ দলীয় জোট জাসদ থেকে মনোনয়ন চাইছেন দলের রাজপথে লড়াকু সৈনিক ডা. অধ্যাপক শামসুর রহমান।
১৪ দলীয় জোট থেকে মনোনয়নের দাবীতে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডে চেষ্টা তদবির অব্যাহত রেখেছেন প্রবীণ ও অভিজ্ঞ এই জাসদ নেতা। ইতোমধ্যে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম এলাকায় দলীয় লিফলেট বিতরণ, বিলবোর্ড, পোষ্টারিংসহ নানাভাবে নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন শামসুর রহমান। একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত লেখক-সাংবাদিক ডা. অধ্যাপক শামসুর রহমান চলনবিল প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি সারা জীবন বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত। তাছাড়া ব্যতিক্রমী সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিক শামসুর রহমান অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতা।
স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মি ও রাজনৈতিক সহকর্মিরা মনে করেন, রাজনীতির এই ক্লান্তিলগ্নে শামসুর রহমানের মতো বিজ্ঞ, দক্ষ, সৎ ও নির্ভীক প্রার্থীকে ১৪ দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন দিলে সমাজ, দেশ ও জাতির উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী। তিনি দলীয় মনোনয়ন চাওয়ায় অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও নড়েচড়ে বসেছেন। এতে নতুনভাবে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। কারণ তার মত প্রজ্ঞাবান ও নীতিনিষ্ঠ নেতৃত্ব বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরল।
ডা. শামসুর রহমান বলেন, সময় এসেছে প্রার্থী বদলের। বিগত দিনে নেতাদের ব্যক্তিগত উন্নতি হলেও এলাকার তেমন উন্নয়ন হয়নি। তাই এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ। তারা প্রার্থী পরিবর্তন চায়। তারা দূষণ ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির পরিসমাপ্তি দেখতে আগ্রহী। তিনি আরো বলেন, নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম)আসনে তাকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়ে এলাকার গণমানুষের সত্যকার ভাগ্য উন্নয়নের স্বার্থে সকল ভেদাভেদ ও দলীয় বিভেদ কোন্দলের উর্ধে থেকে তৃণমূল নেতাকর্মিদের সাথে নিয়ে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করবেন। মোবাইলে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, জাসদের শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুরে নিয়ে এসে জনসভা করার জন্য তার পরিকল্পনা রয়েছে।