সোহেল রানা সোহাগ : চলনবিলের তাড়াশ উপজেলায় তাড়াশ-গুরুদাসপুর চলনবিল মৈত্রী সড়কে এল,জি,ই,ডি নির্মিত ব্রীজ সংলগ্ন জায়গায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ও সরকারী সম্পত্তি রক্ষায় ১৩৭ জন সচেতন গ্রামবাসি লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রশাসনের কাছে। অবৈধ স্থাপনার কারণে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক ও ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এলাকাবসি লিখিত অভিযোগ করলেও আমলে নিচ্ছে না স্থানীয় এল,জি,ই,ডি ও উপজেলা প্রশাসন । সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, এল,জি,ই,ডির নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে কুন্দইল গ্রামের সচেতন নাগরিক অধ্যাপক বদিউজ্জামান সহ ১শ ৩৭ জন একত্রে এই লিখিত অভিযোগ দেন।
সংশ্লিষ্টসূত্রে ও লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ ,নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এল,জি,ই,ডি) চলনবিলের তাড়াশ ওয়াবদাবাঁধ থেকে গুরুদাসপুর নন্দ্রকুজা নদীর ব্রীজ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার চলনবিল মৈত্রী সড়ক প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছে । মৈত্রীসড়কের তাড়াশ অংশের কুন্দইল গ্রামের চলনবিলের বড়াল নদীর উপর নির্মিত ব্রীজের সংলগ্ন কুন্দইল গ্রামের সুলতান,জাকারিয়াসহ স্থানীয় কিছু প্রভাশালী ব্যক্তি ব্রীজের এ্যাপ্রোচে (ঢালু) ব্লক তুলে সিমেন্টের খুঁিট বসিয়ে ৩/৪টি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে। ব্লকগুলো তুলে ফেলায় খুটির নিচে পানি জমে ফাটল ও মাটি ভেঙ্গে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক ও ব্রীজ হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানা গেছে। ব্রীজের পশ্চিম পাশের দক্ষিণ প্রান্তে অনেকগুলো ব্লক ইতোমধ্যে সরে গেছে।
কুন্দইল গ্রামের সহকারী অধ্যাপক মোঃ বদিউজ্জামান , সহকারী অধ্যাপক জালাল উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আজিজ ,স্কুল শিক্ষক চাঁদ আলীসহ গ্রামের বিভিন্ন পেশার ১৩৭ সচেতন ব্যক্তি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে গত ২৩ সেপ্টম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।
লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় পরে তাড়াশ এল,জি,ই,ডির উপজেলা প্রকৌশলী আলী আহমেদ সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করেছেন । কুন্দইল গ্রামের অভিযোগকারী তাড়াশ মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ জালাল উদ্দিন, শিক্ষক মজিবর রহমান ও কৃষক শামসুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও প্রশাসন সরকারী স্থাপনা রক্ষা জন্য কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না ।