ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি : ষাটোর্ধ বিধবা সামর্থ বানু । স্বামী খলিল প্রামানিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় দু’ মাস হলো। আর ২০ বছর আগে একমাত্র কন্যা সন্তান মমতা পারভীনকে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অত্যাচার সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে পরপারে পাড়ি জমায় সে । পৃথিবীতে আপনজন বলতে সামর্থ বানুর এখন আর তেমন কেউ নেই বললেই চলে। নেই বেঁচে থাকার মতো কোন অবলম্বন। এ বয়সে অন্যের বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করে নিজের পেট চালাতে হয় । পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার সারুটিয়া মহল্লার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত জায়গায় বসবাস করেন তিনি। স্বামী-সন্তান হারা সামর্থ বানুর অসহায় নি:সঙ্গ জীবনে এখন কাল থতা অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে এনজিও’র ঋণের টাকা। স্বামী মরে গিয়ে এনজিও’র দেনা থেকে মুক্তি পেলেও মুক্তি মিলছে না তার! বিধবা সামর্থ বানু জানান, স্বামীর চিকিৎসার জন্য মৃত্যুর ৬ মাস আগে গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাক থেকে ত্রিশ হাজার টাকা করে ষাট হাজার টাকা ঋণ নেন। ৬টি মাসিক কিস্তিও পরিশোধ করা হয়। স্বামীকে হারোনোর পর নিজের পেট চালাতে গিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না তিনি। তার অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে গ্রামীণ ব্যাংক তাদের ঋণের টাকা মওকুফ করে দেয়। কিন্তু ব্র্যাক তাদের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে । এনজিও কর্মীর ভয়ে অনেকটা পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে ওই বিধবাকে ! ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে তিনি মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সামর্থ বানুর যে সামর্থ্য নেই। কিস্তির এতো টাকা পরিশোধ করবেন কিভাবে ? এ ব্যাপারে ব্র্যাকের স্থানীয় ম্যানেজার মোজাম্মেল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করে
