জি,এম স্বপ্না : খেলার মাঠটি জুড়ে হাটু পানি আর ভাসছে কচুরী পানা। দূর থেকে দেখে মনে হয় জলাশয় বা ফসলের মাঠ। দেখলে বিশ্বাসই হবে না যে, সলঙ্গার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এক নামে চেনা থানা মাঠ। খেলার এই মাঠটি এক সময় ঐতিহাসিক স্বাক্ষর বহন করেছে। বিভিন্ন জাতীয় দিবস, রাজনৈতিক, সামাজিক অনুষ্ঠান, বড় ধরনের সভা সমাবেশসহ নিয়মিত সব ধরনের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হত এ মাঠে। অবশ্য নিত্য প্রয়োজনীয় বিশাল এ মাঠটি যে এখন অভিভাবক শুন্য। মাঠটির পশ্চিমে থানা জামে মসজিদ, পূর্বে জরাজীর্ণ সরকারী গোডাউন, দক্ষিনে বাসাবাড়ী, উত্তরদিকে পাকা রাস্তা। মাঠটি নিচু হওয়ায় পানি নিষ্কাষনে নেই সুব্যবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলেই চারদিকের সব পানি নেমে আসে মাঠে। বন্ধ হয়ে যায় খেলাধুলাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান। বর্ষা মৌসুমে থৈ থৈ পানি, যা মাছ ও ধান চাষের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে। ইদানিং মাঠটি পানিতে ডুবে গেছে আর বড় বড় কচুরী দ্বারা পুরো মাঠ ভরে গেছে। যার ফলে ক্রীড়ামোদীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ পানি নিষ্কাষনের সুষ্ঠ ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় সারা বছর ঐতিহ্যবাহী এ খেলার মাঠটি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। তাই মাঠের এ অবস্থার জন্য খেলোয়াড়দের বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। নিয়মিত খেলাধুলা করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই। অনাদর, অবহেলা আর চোখের জলে দীর্ঘদিন ধরে পানিতে ভাসছে এ মাঠটি। পানি নিষ্কাষনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় সারা বছরই মাঠটি কচুরীপানা আর পানিতে তলিয়ে থাকলেও মাঠের সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেন ঘুম ভাঙছে না। এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী, মাঠটি রক্ষার জন্য পরিকল্পনার মাধ্যমে মাটি ভরাট সহ ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হোক। এ ব্যাপারে ঘুড়কা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শুকনা মৌসুমে খেলার মাঠটিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হবে। রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মাহবুব জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। পানি নিষ্কাষণ ও মাঠটির উন্নয়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সলঙ্গার হাজারো ক্রীড়ানুরাগী ও সচেতন মহল।