মতিন সরকার : এস,এস,সি-এইচ,এস,সি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পা দিয়ে লিখে সাফল্য পেয়েছে এলিজা আকতার নামের অদম্য মেয়েটি।তার এই সাফল্যে বিদ্যালয়সহ পরিবার ও গ্রামের মানুষ এখন গর্বিত। ইচ্ছে শক্তি দিয়ে প্রতিবন্ধীতাকে যে জয় করেছে, সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের এলিজা আকতার তার জলন্ত উদাহরণ।
তার ইচ্ছে এখন উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সমাজে অবহেলিতদের পাশে দাঁড়ানো। শরীরের সবগুলো অংগ থাকলেই কেবল সাফল্য পাওয়া যায় – তা নয়। কি পারেনা সে ? রান্না করা, বাসন মাজা, গৃহস্থালীর প্রায় সব কাজই করতে পারে অনায়াসে। জন্ম থেকেই দুটি হাত তার একদম ছোট এবং অকেজো । আর তাই পা’কেই বেছে নেয় জীবন তৈরীর মুল হাতিয়ার হিসেবে।
প্রতিবন্ধীতার কাছে হার না মেনে ছোট বেলা থেকেই এলিজা পা দিয়ে অভ্যেস করে সব কাজ ও লেখা পড়া করে। প্রতিবন্ধী হওয়ায় অবহেলা করেনি পরিবারের কেউ। এলিজার ইচ্ছে অনুযায়ী সাহায্য করেছে তারা। তবে হার মানতে হয়েছে দরিদ্রতার কাছে।
এলিজার স্বামী মোস্তফা জানান, ছোট বেলা থেকেই মেয়েটি শান্তশিষ্ট এবং মেধাবী। পড়ালেখা এবং কাজের প্রতি তার অসম্ভব ইচ্ছে। যেকোন কাজ একবার দেখলেই শিখে নিতে পারে। তাই সে কোন কিছু চিন্তা না করে বিবাহ করেন এলিজাকে ।সকলের দোয়া এবং সহযোগিতা পেলে এলিজা একদিন নাম কুড়াবে বলে আশা করে তার স্বামী। অদম্য মেয়েটি একান্ত সাক্ষাতকারে জানায় , ভাল একটা চাকরি করতে চায় সে। কিন্তু দারিদ্র্য বাধা হতে পারে এই আশংকা তার। সে পড়ালেখা শেষ করে একজন আদর্শ শিক্ষক হতে চায় । আর তার মত প্রতিবন্ধী এবং গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাাঁড়াতে চায় এলিজা ৷