গোলাম মোস্তফাঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশের হাট-বাজারে শীতের সবজির দাম বেড়েছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে বেগুন, শিম ও ফুলকপিসহ বেশকিছু সবজি দ্বিগুণ দামে বেচাকেনা হচ্ছে। এদিকে কমেছে পিয়াজ ও আলুর দাম। বিশেষ করে, শীতকালীন সবজির হঠাৎ চড়া মূল্যে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন। অপরিবর্তিত রয়েছে মুলা, পটল ও কাঁচা মরিচের দাম।
প্রসিদ্ধ বিনসাড়া হাটের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মন্টু, বকুল, আব্দুল গনি, মিলন ও জহুরুল ইসলাম জানান, গত রবিবার থেকে পাইকারী বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। ফলে স্থানীয় হাট-বাজারে প্রভাব পড়েছে। সরবরাহ না বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই। আলু, পিয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।
বিনসাড়া গ্রামের আসলাম মোল্লা, আব্দুল হান্নান, আলমগীর হোসেন ও পেঙ্গুয়ারি গ্রামের সবের আলী, ফারুক হোসেন জানান, দুই দিন আগেও ১০০ টাকায় ৫ ধরনের ৫ কেজি সবজি পাওয়া গেছে। সবজিতে বাজারের ব্যাগ ভরে যেত। শীত বাড়ছে, অথচ শীতকালীন সবজির দামও বাড়ছে। এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তারা।
সরেজমিনে বিনসাড়া হাট ও তাড়াশ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হাটে-বাজারে সবজির সল্পতা রয়েছে। লোকজন সবজি কেনার জন্য এ দোকান-ও দোকানে দর কষাকষি করছেন।
কাঁচা মালের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত শুক্র-শনিবার দিনও বেগুন ২৫, ফুলকপি ২৫ ও শিম ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন। কিন্তু রবিবার থেকে শিম ৮০, বেগুন ৭০, ফুলকপি ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন। কদু, করল্লা, গাজরসহ আরো কিছু সবজির দামও বেড়েছে। নতুন আলু ও পিয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। আলু বিক্রি করছেন ৬০ টাকা কেজি। পিয়াজ ১০০ টাকা কেজি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্থানীয় কৃষকদের আগাম চাষের সবজি শেষের দিকে। পাইকারি বাজারেও দাম বেড়েছে। এজন্য লোকজনের একটু বেশী টাকা গুণতে হচ্ছে সবজি বাজারে।