ওঁরাই আমার ভাই
ফিরোজা বিউটি
ওঁরা এনে দিয়েছে বিজয়ের পতাকা,
আমার মায়ের হাতে।
ডরেনি কভু শত্রুকে তাঁরা, চলেছে মাথা উচিয়ে।
নির্ভীক সৈনিক চলেছিলো বুক ফুলিয়ে,
পিছু ফিরে চায়নি একটিবারও,
প্রিয়াজে তাঁর থেকেছে পথ পানে চেয়ে।
দেশের জন্য ছোট্ট শিশুটিকে ঘুম পাড়িয়ে
রেখে গেল সেই যে বাবা,
ফিরলো না আর কভু।
কতো সকাল গেলো, কতোযে বিকেল
গড়িয়ে এলো রাত। বাবা তার এলোনা
ফিরে।
কিশোরী বধুটি আলতা পায়ে এসেছিলো
নব সাজে। বিয়ের মাস না গড়াতেই বিধবা হলো,
স্বামী তার মুক্তিযুূদ্ধের বীর সৈনিক।
দেশের বিজয় আনবে বলে ঝাপিয়ে পড়েছিলো,
দেশকে শত্রুমুক্ত করবে বলে নিজের জীবন বাজি রেখেছিলো, ফিরলোনা আর।
কলেজ পড়ুয়া সেই ছেলেটি বড়ই মেধাবী।
মা-বাবার ইচ্ছা ডাক্তার বানাবে,
সেইটিও পুরণ হয়নি বাবার।
চারিদিকের আত্ম চিৎকারে, থেমে থাকতে
পারেনি ছেলেটি। ঝাপিয়ে পড়েছে
শত্রুদের বিরুদ্ধে। জীবন বলি দিয়েছেন
দেশের জন্য।
আমরাতো বীরের জাতি, কে রুখবে মোদের,
এখনো চলছে যুদ্ধ, আমরা এখনো শত্রুদের
দমাতে পারিনি। এখনো মায়ের বুক খালি হয়।
এখনো শিশুটি হারাচ্ছে পিতা।
বধুটি তার পথ চেয়ে থাকে
প্রিয়ার আসায়।
আর কতো?? ক্ষান্ত হও,সব বাধা বিপত্তি
থেকে মুক্ত করো এদেশ
তবেই হবে, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা
সোনার বাংলাদেশ।