খান তরুণ্ণ
মুহাম্মাদ গোলাপ হোসেন
ফযর আযানে
ঘুম থেকে জাগি
সকরুন বড় সুর
পাখ -পাখালির
গানে মুখরিত
কতই যে সুমধুর!
পাখি ডাকা ভোর
সতেজ প্রশাখা
মন করে নির্মল
শীতল অনিল
খুলে অকাতরে
স্নায়ু কোষ অর্গল।
হিমান্ত বায়ে
জাগে অনুভূতি
দেখি হালকা কুয়াশা
রাঙা প্রভাতীর
আলোর ঝলক
অতশী কাঁচ এ ঘোষা।
পূর্বাকাশে জাগে
রাঙা রবি রেখা
কোলা হোল মাখামাখি
বক বাসা ছাড়ে
উড়ে ঝাঁকে ঝাঁক
খান তরুণ্ণ ছাড়ি।
বলাকা শালিক
দোয়েল কোয়েল
চিল বালিহাঁস পাখি
ঝাঁকে ঝাঁক করে
ঘুরে উড়ে চলে
ছড়ায় চাহন আঁখি।
রাত চড়া ডাকে
পানকৌড়ি শাখে
ডানা দুটি মেল করে
কি মধুর লাগে
মনে সাধ জাগে
তারে দেখি বারে করে।
সারা মাঠ ভরি
আহারে বিহারে
পোহায় রোদ দুপুর
শিকারির ফাঁদে
কেহ নাহি পড়ে
বুক খানি দুরুদুর।
চলন ঐ জল
খুব ধীরে চলে
বিল ছাড়ি পাড়ি হতে
আহাজারী কাঁদে
বিল মাধুরীরা
বিদায় শুভেচ্ছা দিতে ।
মাঠ থেকে পাখি
ফিরে আসে নীড়ে
গোধূলি সায়াহ্নে
অধির আগ্রহে
বাসা খুঁজে তারা
খান গৃহ তরুণ্ণে ।